'ছেলেধরা' সন্দেহে দম্পতিসহ তিনজনকে পুলিশে সোপর্দ

রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলায় ‘ছেলেধরা’ সন্দেহে এক দম্পতিসহ তিনজনকে আটকের পর পুলিশে সোপর্দ করেছেন গ্রামবাসী। বুধবার সকাল আটটার দিকে উপজেলার মোল্লাপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশে সোপর্দ করা তিনজন হলেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের সদর উপজেলার ফাটাপাড়া গ্রামের রবিউল ইসলাম, তাঁর বন্ধু হরিশপুর এলাকার এহসান আলী ও এহসানের স্ত্রী সেলিনা খাতুন। তাঁদের সঙ্গে ছিল মৌসুমী খাতুন নামে সাত বছর বয়সী এক শিশু। সে সেলিনার চাচাতো বোন।

ভুক্তভোগী, পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এহসান আলীর সঙ্গে বিবাদের কারণে তাঁর স্ত্রী সেলিনা খাতুন চর বাগডাঙ্গা গ্রামে বাবার বাড়িতে থাকতেন। বিবাদ মেটাতে রবিউল ইসলাম এই দম্পতিকে তাঁর মামা মো. শামসুদ্দিনের বাড়িতে বেড়াতে নিয়ে যান। রবিউলের মামার বাড়িতে আসার সময় সেলিনা তাঁর চাচাতো বোন মৌসুমীকে সঙ্গে এনেছিলেন। সকালে তাঁরা সবাই বাড়ি ফিরছিলেন। তাঁদের সঙ্গে শিশুটিকে দেখে কয়েকজন গ্রামবাসীর সন্দেহ হয়। ‘ছেলেধরা’ সন্দেহে তাঁরা রবিউল ও এহসানকে বেঁধে রাখেন। গ্রামবাসীর কেউ পুলিশকে ফোন করে বিষয়টি জানায়। পুলিশ এসে সবাইকে উদ্ধার করে গোদাগাড়ী থানার অস্থায়ী ক্যাম্পে হেফাজতে রাখে। পরে তাঁদের বিষয়ে খোঁজখবর নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়।

গোদাগাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘বুধবার সকাল সাড়ে আটটার দিকে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। সেখান থেকে সবাইকে উদ্ধার করা হয়। দুপুরে ওই লোকজনের পরিবারের সদস্য আসার পর তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়। ছেলেধরা গুজবের কারণেই এই ঘটনা ঘটেছে।’