৭ কলেজে অধিভুক্তি বাতিলের আন্দোলন 'আপাতত' স্থগিত

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সংবাদ সম্মেলন। ২৫ জুলাই, অপরাজেয় বাংলা। ছবি: আসিফ হাওলাদার
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সংবাদ সম্মেলন। ২৫ জুলাই, অপরাজেয় বাংলা। ছবি: আসিফ হাওলাদার

রাজধানীর সাত সরকারি কলেজের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধিভুক্তি বাতিলের দাবির আন্দোলন থেকে ‘আপাতত’ সরে দাঁড়িয়েছে শিক্ষার্থীরা। সংকট সমাধানে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ‘সুপারিশ প্রণয়ন কমিটি’ করায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

গত মঙ্গলবার পর্যন্ত টানা তিনদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনগুলোয় তালা দিয়ে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। এতে কার্যত অচল হয়ে পড়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। আন্দোলনের চতুর্থ দিন গতকাল বুধবার শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে বাধা দেয় ছাত্রলীগ।

সাত কলেজের অধিভুক্তি নিয়ে উদ্ভুত সমস্যার ‘বৈজ্ঞানিক’ সমাধানে সুপারিশ প্রণয়নের লক্ষ্যে গতকাল ১১ সদস্যের একটি কমিটি করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। কমিটিকে ১০ কার্যদিবসের মধ্যে সুপারিশ দিতে বলা হয়েছে। উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামান মনে করেন, সাত সরকারি কলেজকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত করার পদ্ধতিটি ছিল ‘অবৈজ্ঞানিক’।

সংকট সমাধানে কমিটি করার প্রতিক্রিয়ায় আজ দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে সংবাদ সম্মেলন করেন অধিভুক্তি বাতিলের দাবিতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। এর আগে তাঁরা ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করেন।

সংবাদ সম্মেলনে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের মুখপাত্র ব্যবস্থাপনা বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী শাকিল মিয়া বলেন, ‘কর্তৃপক্ষের আশ্বাসে আমরা ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন কর্মসূচি থেকে সরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তবে অন্যান্য কর্মসূচি চলমান থাকবে। প্রশাসনের দেওয়া আশ্বাসকে পর্যবেক্ষণে রেখে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।’

আগামী রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য ও রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বরাবর স্মারকলিপি দেবেন বলে জানান শাকিল মিয়া। তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যদি সাত কলেজের অধিভুক্তি বাতিল না করে বা কালক্ষেপণ করে, তাহলে তাঁরা আবার আন্দোলনে নামবেন। সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে সমাজবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী নাহিদ ইসলাম বক্তব্য দেন। সংবাদ সম্মেলন শেষে ক্যাম্পাসে আরেকটি বিক্ষোভ মিছিল করেন।