রাজশাহীতে বিএনপির সমাবেশ স্থগিত

অনুমতি না পেয়ে বিএনপির রাজশাহী বিভাগীয় সমাবেশ স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাজশাহী মহানগর বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এই কথা জানানো হয়। বিএনপি দাবি করেছে, এই সমাবেশ আহ্বান করার পর তাঁদের ৫৫ জন নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

অনুমিত মেলেনি, সেই সঙ্গে দেশের উত্তরাঞ্চলের বন্যার কথা বিবেচনা করে সমাবেশ স্থগিত করা হয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানান দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু।

এদিকে রাজশাহী মহানগর পুলিশের মুখপাত্র সহকারী উপকমিশনার (এডিসি) রুহুল কুদ্দুস বলেন, সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হয়নি, এটা ঠিক না। বিএনপি আগেও ভুবনমোহন পার্কে সমাবেশ করেছে। সেখানেই তাদের সমাবেশ করার জন্য অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, ‘বিএনপি রাজপথে যেখানে সমাবেশ করতে চায়, সেখানে করলে জনদুর্ভোগের সৃষ্টি হবে।’

গত রোববার একটি প্রস্তুতিমূলক সভায় বিএনপি ২৯ জুলাই রাজশাহীতে সমাবেশের ডাক দিয়েছিল। বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমানের মুক্তির দাবিতে দেশের সব বিভাগীয় শহরে সমাবেশের অংশ হিসেবে এই সমাবেশের ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল। রাজশাহীর সাহেব বাজার জিরো পয়েন্ট, মনিচত্বর অথবা গণকপাড়ার মোড়ে যেকোনো একটি জায়গায় ২৯ জুলাই বিভাগীয় সমাবেশ করার জন্য বিএনপির পক্ষ থেকে রাজশাহী মহানগর পুলিশ কমিশনার বরাবরে একটি আবেদন করা হয়েছিল।

সংবাদ সম্মেলনে মিজানুর রহমান বলেন, এ সমাবেশকে উদ্দেশ্য করে সরকার ভীত হয়ে পুলিশকে দিয়ে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের ৫৫ জন নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে। তবে এসব নেতা-কর্মীর নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা নেই। রাজনৈতিক হীন উদ্দেশ্য চরিতার্থ করার জন্য সরকার এই কাজ করেছে। নেতা-কর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তিরও দাবি জানান তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে রাজশাহী মহানগর বিএনপির সভাপতি মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির রাজশাহী বিভাগীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ শাহীন শওকত, মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শফিকুল হক, বোয়ালিয়া থানা বিএনপির সভাপতি সাইদুর রহমান, মহানগর বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ওয়ালিউল হক, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য গোলাম মোস্তফা, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মিজানুর রহমান, মতিহার থানা বিএনপির সভাপতি আনসার আলী, শাহ্ মখ্দুম থানা বিএনপির সভাপতি মনিরুজ্জামান, পুঠিয়া থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মিন্টু, জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরাম রুয়েট শাখার সাধারণ সম্পাদক আকতার হোসেন, কেন্দ্রীয় মহিলা দলের সাংগঠনিক সম্পাদক রোকসানা বেগম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।