৯৯৯ নম্বরে কল, গণপিটুনি থেকে বাঁচলেন একজন

‘যশোর সদর উপজেলার হুদো রাজাপুর গ্রামে “ছেলেধরা” গুজবে এক ব্যক্তিকে মারধর করা হচ্ছে’ কোতোয়ালি থানার পুলিশের কাছে এমন তথ্য আসে। পুলিশ তথ্যটি পায় সরকারি জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯ থেকে। তাৎক্ষণিক পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখে, পঞ্চাশোর্ধ্ব এক ব্যক্তিকে কয়েকজন মারধর করছে। ঘটনাটি আজ বৃহস্পতিবার সকালে ঘটে।

উদ্ধার হওয়া ব্যক্তির নাম তরিকুল মোল্লা (৫০)। তিনি মাগুরার শালিখা উপজেলার আড়পাড়া গ্রামের বাসিন্দা। হুদো রাজাপুর গ্রামে তিনি আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলেন।

মারধরের ঘটনায় জড়িত থাকায় পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ফারুক হোসেন (৪৫) নামের এক ব্যক্তিকে আটক করেছে। ফারুক রাজাপুর গ্রামের বাসিন্দা। এই বিষয়ে কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা হবে।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সকাল সাড়ে সাতটার দিকে তরিকুল মোল্লা হুদো রাজাপুর গ্রামে পৌঁছান। এ সময় তাঁকে দেখে স্থানীয় কয়েকজন ‘ছেলেধরা’ গুজব তুলে মারধর শুরু করেন। স্থানীয় এক ব্যক্তি ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে বিষয়টি জানিয়ে দেয়। তারপর ৯৯৯ নম্বর থেকে পুলিশকে ঘটনাস্থলে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মারধরের শিকার তরিকুলকে উদ্ধার করে।

যশোর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান বলেন, রাজাপুরে ছেলেধরা গুজবে এক ব্যক্তিকে পেটানো হচ্ছে, ৯৯৯ নম্বরে এমন তথ্য আসে। এরপর পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই ব্যক্তিকে উদ্ধার করে।

ওসি বলেন, তরিকুল মোল্লা অত্যন্ত দরিদ্র। অন্যের কাছ থেকে সহায়তায় নিয়ে তাঁর সংসার চলে। তাঁর পরনের পোশাক ছিল ময়লা। যে কারণে স্থানীয় লোকজন তাঁকে ছেলেধরা বলে সন্দেহ করে।