দেশে এল বিমানের তৃতীয় ড্রিমলাইনার 'গাঙচিল'

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের তৃতীয় ড্রিমলাইনার ‘গাঙচিল’ দেশে এসেছে। হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, ঢাকা, ২৫ জুলাই। ছবি: সংগৃহীত
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের তৃতীয় ড্রিমলাইনার ‘গাঙচিল’ দেশে এসেছে। হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, ঢাকা, ২৫ জুলাই। ছবি: সংগৃহীত

দেশে এসেছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের তৃতীয় ড্রিমলাইনার ‘গাঙচিল’। সর্বাধুনিক প্রযুক্তির তৃতীয় প্রজন্মের বোয়িং ৭৮৭-৮ মডেলের উড়োজাহাজটি বৃহস্পতিবার বিকেল পাঁচটার দিকে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। গাঙচিল নিয়ে বিমান বহরে উড়োজাহাজের সংখ্যা হলো ১৫টি।

দেশে পৌঁছার পর গাঙচিলকে ওয়াটার ক্যানন স্যালুটের মাধ্যমে স্বাগত জানানো হয়। এ সময় বিমানের ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) জামিল হাসান ফারহাতসহ বিমান ও সিভিল এভিয়েশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস ২০০৮ সালে মার্কিন উড়োজাহাজ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বোয়িং কোম্পানির সঙ্গে ১০টি নতুন উড়োজাহাজ কেনার চুক্তি করে। এসবের মধ্যে চারটি বোয়িং ৭৭৭-৩০০ ইআর, দুটি বোয়িং ৭৩৭-৮০০ ও দুটি বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার ইতিমধ্যে বিমান বহরে যুক্ত হয়েছে। সর্বশেষ ড্রিমলাইনারটি আগামী সেপ্টেম্বরে দেশে আসতে পারে। বিমানের চারটি ড্রিমলাইনারের নাম বাছাই করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর মধ্যে আকাশবীণা, হংসবলাকা ২০১৮ সালে বাংলাদেশে এসেছে। চতুর্থ ড্রিমলাইনারের নাম রাজহংস।

বিমানের উপমহাব্যবস্থাপক তাহেরা খন্দকার বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী ৭ আগস্ট গাঙচিলের উদ্বোধন করতে পারেন। অন্য দুটি ড্রিমলাইনারের মতো গাঙচিলের আসনসংখ্যা ২৭১টি। এর মধ্যে বিজনেস ক্লাসে ২৪টি আর ইকোনমি ক্লাসে ২৪৭টি। বিজনেস ক্লাসের আসনগুলো ১৮০ ডিগ্রি পর্যন্ত রিক্লাইন্ড সুবিধা এবং সম্পূর্ণ ফ্ল্যাটবেড হওয়ায় যাত্রীরা স্বচ্ছন্দে ভ্রমণ করতে পারবেন। এ ছাড়া বিমানটিতে যাত্রীরা ইন্টারনেট ব্যবহার ও ফোন কল করার সুবিধাও পাবেন।