বিদ্যালয়ের সেপটিক ট্যাংকে পড়ে শিশুর মৃত্যু

নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলায় একটি বিদ্যালয়ের নির্মাণাধীন সেপটিক ট্যাংকের গর্তে পড়ে আড়াই বছর বয়সী এক শিশু মারা গেছে। বৃহস্পতিবার বেলা সোয়া দুইটার দিকে উপজেলার পেরিরচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত উম্মে হাবিবার বাবা আমিনুল ইসলাম ও মা রুবিনা আক্তার। তাঁরা ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার লংপুরবাশাটি গ্রামের বাসিন্দা। হাবিবার মা পেরিরচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক।

স্থানীয় বাসিন্দা ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শিক্ষক রুবিনা আক্তার প্রতিদিনের মতো বৃহস্পতিবার সকালে তাঁর মেয়ে উম্মে হাবিবাকে সঙ্গে করে স্কুলে আসেন। বেলা পৌনে দুইটার দিকে হাবিবাকে শিক্ষক মিলনায়তনে রেখে রুবিনা শ্রেণিকক্ষে পড়াতে যান। এ সময় অন্য শিক্ষকেরাও বিভিন্ন ক্লাসে পড়াচ্ছিলেন। সবার অগোচরে শিশুটি স্কুলভবন–সংলগ্ন নির্মাণাধীন সেপটিক ট্যাংকের জন্য খুঁড়ে রাখা গর্তে পড়ে যায়। কিছুক্ষণ পর রুবিনাসহ অন্য শিক্ষকেরা শিশুটিকে না পেয়ে ওই গর্তের কাছে যান। পরে সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে কেন্দুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. ওবায়দুল্লাহ বলেন, ‘আমি বিষয়টি কেন্দুয়া উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কাছ থেকে শুনেছি। ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক ও মর্মান্তিক। সেপটিক ট্যাংকের জন্য খোঁড়া গর্তে জমে থাকা পানিতে শিশুটির মৃত্যু হয়েছে।’

কেন্দুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ রাশেদুজ্জামান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।