ছাত্রলীগ সভাপতির গ্রেপ্তার দাবি, আ.লীগ নেতাদের থানা ঘেরাও

সৈয়দপুর আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে ছাত্রলীগ সভাপতির বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মোজাম্মেল হক। ছবি: প্রথম আলো
সৈয়দপুর আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে ছাত্রলীগ সভাপতির বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মোজাম্মেল হক। ছবি: প্রথম আলো

নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নজির হোসেনকে গ্রেপ্তারের দাবিতে থানাও ঘেরাও করেছেন খোদ আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা। আজ শনিবার দুপুরে বিক্ষোভ মিছিল করে এসে সৈয়দপুর থানার সামনে সমবেত হন উপজেলা ও পৌর আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। এ সময় ছাত্রলীগ সভাপতির বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও মাদক ব্যবসার সংশ্লিষ্টতার একটি অভিযোগ দেন আওয়ামী লীগের ক্ষুব্ধ নেতারা। 

এর আগে শহরের শহীদ তুলসীরাম সড়কে অবস্থিত আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। উপজেলা ও পৌর আওয়ামী লীগ যৌথভাবে এর আয়োজন করে। এতে লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান সৈয়দপুর পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মোজাম্মেল হক। বক্তব্যে তিনি অভিযোগ করেন, উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি নজির হোসেন ছাত্রলীগ কার্যালয়ে বসে মাদক ব্যবসা চালিয়ে আসছেন। তিনি নিজেও একজন মাদকসেবী। এ ছাড়া নজির সাংগঠনিক প্রভাব খাটিয়ে চাঁদাবাজি করছেন অব্যাহতভাবে।

মোজাম্মেল হক বলেন, ‘এসব বিষয় কেন্দ্র ও ছাত্রলীগের জেলা কমিটিকে লিখিত অভিযোগ করেও কোনো ফল মেলেনি। আমরা ব্যক্তিগতভাবে নজিরকে সতর্ক করেছি। কিন্তু তিনি তা আমলে নেননি।’

আওয়ামী লীগ নেতা মোজাম্মেল হক বলেন, ‘আমরা বঙ্গবন্ধুর আদর্শে গড়া ছাত্রলীগের ভাবমূর্তি ফেরাতে বাধ্য হয়ে মাঠে নেমেছি। আমরা ছাত্রলীগ সভাপতি নজির হোসেনের অপসারণ চাই। আমরা তার বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ তুলে ধরেছি।’

এ সময় উপস্থিত ছিলেন সৈয়দপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আখতার হোসেন বাদল, পৌর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রফিকুল ইসলাম বাবু, সহসভাপতি ইদ্রিস আলী, সৈয়দপুর উপজেলা পরিষদের সংরক্ষিত আসনের ভাইস চেয়ারম্যান সানজিদা বেগম লাকিসহ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতারা।

সৈয়দপুর উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতির বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও মাদক ব্যবসার অভিযোগ এনে থানায় স্মারকলিপি দেন স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতারা। সৈয়দপুর থানার সামনে থেকে নেওয়া। ছবি: প্রথম আলো
সৈয়দপুর উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতির বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও মাদক ব্যবসার অভিযোগ এনে থানায় স্মারকলিপি দেন স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতারা। সৈয়দপুর থানার সামনে থেকে নেওয়া। ছবি: প্রথম আলো

পরে নেতা-কর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। তাঁরা কিছুক্ষণের জন্য থানা ঘেরাও করে রাখেন।

সৈয়দপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহজাহান পাশা অভিযোগপ্রাপ্তির কথা স্বীকার করে বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আজকের সংবাদ সম্মেলনে করা এসব অভিযোগ নিয়ে উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি নজির হোসেনের সঙ্গে কথা হয়। তিনি বলেন, ‘এটা রাজনৈতিক প্রতিহিংসা। আমার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ সত্য নয়।’