গফরগাঁওয়ে চালককে হত্যা করে অটোরিকশা ছিনতাই

ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলায় চালককে হত্যা করে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ছিনতাইয়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। আজ শনিবার সকালে উপজেলার পাগলা থানাধীন চাকুয়া গ্রাম থেকে নিহত চালকের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

নিহত চালকের নাম সুজন মণ্ডল (২৫)। তাঁর বাড়ি গফরগাঁও উপজেলার সুতারচাপড় গ্রামে। তাঁর বাবার নাম বাবুল মণ্ডল।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সুজন মণ্ডল গফরগাঁও উপজেলার ত্রিমোহিনী-বারইহাটি সড়কে নিয়মিত অটোরিকশা চালাতেন। গতকাল শুক্রবার রাতে ত্রিমোহিনী অটোরিকশা স্ট্যান্ডে তিনি যাত্রীর অপেক্ষায় ছিলেন। রাত সাড়ে আটটার দিকে এক নারী যাত্রী বকুলতলা নামের এলাকায় যাওয়ার কথা বলে অটোরিকশাটি ভাড়া নেন। সুজন ওই নারীকে নিয়ে বকুলতলার উদ্দেশে যাত্রা করেন। রাত সাড়ে নয়টার দিকে সুজনের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি বন্ধ পান পরিবারের সদস্যরা। গতকাল রাতে সুজন বাড়ি ফেরেননি। পরিবারের লোকজন তাঁর সন্ধানে খোঁজাখুঁজি করেন, তবে কোনো হদিস পাননি।

আজ ভোরে চাকুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনের সড়ক থেকে সুজনের লুঙ্গি ও গামছা উদ্ধার করে তাঁর পরিবারের লোকেরা। সকাল সাড়ে সাতটার দিকে চাকুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে ১০০ গজ দূরে শীতলক্ষ্যা নদীর চাকুয়া পুরাতন ঘাট এলাকায় সুজনের লাশ পাওয়া যায়। নদীতে মাছ ধরার একটি বাঁশের ঘেরে সুজনের লাশ আটকে ছিল বলে জানান পরিবারের লোকজন। খবর পেয়ে পাগলা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সুজন মণ্ডলের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। সুজনের অটোরিকশাটি পাওয়া যায়নি।

পাগলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিনুজ্জামান বলেন, সুজন মণ্ডলের গলায় আঘাতের চিহ্ন আছে। তাঁকে হত্যা করে অটোরিকশাটি ছিনতাই করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে কারা এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত, তা জানতে পারেনি পুলিশ। পুলিশ ঘটনার তদন্তকাজ শুরু করেছে। তবে এখন পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি।