খিলগাঁওয়ের বাসাটিতে এত অস্ত্র ছিল!

রাজধানীর খিলগাঁও এলাকার একটি বাসা থেকে উদ্ধার হওয়া বিপুল পরিমাণ বিদেশি অস্ত্র। ছবি: সংগৃহীত
রাজধানীর খিলগাঁও এলাকার একটি বাসা থেকে উদ্ধার হওয়া বিপুল পরিমাণ বিদেশি অস্ত্র। ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর খিলগাঁও এলাকার একটি বাসা থেকে বিপুল পরিমাণ বিদেশি অস্ত্র, গুলিসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। 

গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে আটটার দিকে অভিযান চালিয়ে এসব অস্ত্র উদ্ধার করে ডিবি।

গ্রেপ্তার করা তিনজন হলেন খান মোহাম্মদ ফয়সাল (৩৮), জিয়াউল আবেদীন ওরফে জুয়েল (৪৫) ও মো. জাহিদ আল আবেদিন ওরফে রুবেল (৪০)।

তাঁদের কাছ থেকে একটি একে ২২ রাইফেল, চারটি বিদেশি পিস্তল, একটি বিদেশি রিভলবার ও বিভিন্ন অস্ত্রের ৪৭টি গুলি উদ্ধার করা হয়।

ডিবির (পূর্ব) খিলগাঁও অঞ্চলের অতিরিক্ত উপকমিশনার শাহিদুর রহমানের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালিত হয়।

শাহিদুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, গোপন সূত্রে তথ্য পেয়ে ডিবির (পূর্ব) উপকমিশনার মোহাম্মদ ইলিয়াছ শরীফের নির্দেশনায় এবং এডিসি জুয়েল রানার তত্ত্বাবধানে গতকাল রাত সাড়ে আটটার দিকে এই অভিযান চালানো হয়। অভিযান চলার সময় খিলগাঁও এলাকার ২৬৯/এ/ক সিপাহিবাগের ‘ফাইভ স্টার নিবাস’ নামের বাসার সামনে থেকে প্রথমে খান মোহাম্মদ ফয়সালকে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর কাছ থেকে তথ্য পেয়ে ফাইভ স্টার নিবাসে অভিযান চালানো হয়। অভিযান চালানোর সময় ওই ভবনের আটতলার বাঁ পাশের ফ্ল্যাট থেকে জুয়েল ও রুবেলকে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, এ ফ্ল্যাটে আরও অস্ত্র মজুত আছে। তখন তল্লাশি করে বিদেশি রিভলবার, রাইফেলসহ গুলি উদ্ধার করা হয়। অভিযান চালানোর সময় বেশ কয়েকজন পালিয়ে যান। এ ঘটনায় খিলগাঁও থানায় মামলা হয়েছে।

পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) হাতে খিলগাঁও থেকে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার তিনজন। ছবি: সংগৃহীত
পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) হাতে খিলগাঁও থেকে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার তিনজন। ছবি: সংগৃহীত

ডিবি সূত্রে জানা গেছে, গ্রেপ্তার দুই আসামি জুয়েল ও রুবেল সম্পর্কে ভাই। তাঁদের আরেক ভাই লিয়ন সাত বছর আগে ক্রসফায়ারে মারা গেছেন। জুয়েল ও রুবেলের বিরুদ্ধে তিন থেকে চারটি মামলা রয়েছে।

চক্রটির প্রধান ললাট নামের আরেক সন্ত্রাসী। মধ্যপ্রাচ্যের একটি দেশ থেকে তাঁদের নিয়ন্ত্রণ করেন এক গডফাদার। তাঁরা মূলত চুক্তিতে হত্যা করে থাকেন।

এ ধরনের সন্ত্রাসীগোষ্ঠীর কাছে একে ২২ রাইফেলের মতো অস্ত্র থাকা বিস্ময়কর ব্যাপার বলে মনে করছেন ডিবির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনার তদন্ত চলছে উল্লেখ করে শাহিদুর রহমান জানান, বড় ধরনের সংঘাতের জন্য এ বাসায় গ্রেপ্তার তিন সন্ত্রাসীসহ আরও কয়েকজন অবস্থান করছিলেন।