গবাদিপশু বাঁচাতে গিয়ে প্রাণ গেল তাঁর

বগুড়া
বগুড়া

বগুড়ার শেরপুরে দুর্বৃত্তদের হাত থেকে গবাদিপশু বাঁচাতে গিয়ে শাজাহান আলী (৫৭) নামের এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। গলায় গামছা পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে তাঁকে হত্যা করা হয়।

উপজেলার ভবানীপুর বাজারের পাশে গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত দুইটায় এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য আজ শনিবার সকালে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায় পুলিশ। ময়নাতদন্ত শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

স্থানীয় লোকজন সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ভবানীপুর-রানীরহাট সড়কের পাশে শাজাহান আলীর একটি ‘প্রাকৃতিক প্রজননকেন্দ্র’ আছে। আশপাশের ২০-২৫ গ্রামের কৃষকেরা তাঁদের গবাদিপশু এই কেন্দ্রে এনে প্রাকৃতিকভাবে প্রজনন করিয়ে নিতেন। শুক্রবার গভীর রাতে কয়েকজন দুর্বৃত্ত শাজাহান আলীর প্রজননকেন্দ্রে এসে তিনটি ষাঁড় ও দুটি ছাগল লুট করে নেওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় বাধা দিতে গেলে গলায় গামছা পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয় তাঁকে। স্বামীকে বাঁচাতে গেলে মারধরের শিকার হন স্ত্রী মেরিনা বেগমও (৪৫)। চিকিৎসার জন্য তাঁকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

ভবানীপুর ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ প্রথম আলোকে বলেন, অন্তত সোয়া দুই লাখ টাকার পশু দুর্বৃত্তরা লুট করে নিয়ে গেছে বলে জানতে পেরেছেন তিনি।

নিহত শাজাহান আলীর ছেলে মুক্তার হোসেন বলেন, তাঁদের বাড়ি বগুড়ার ধুনট থানার চিকাশী ইউনিয়নের হটিয়ারপাড়া গ্রামে। ছয় বছর ধরে তাঁর বাবা সড়কের ধারে স্থানীয় একজনের ফাঁকা জায়গায় ঘর তুলে এই প্রাকৃতিক প্রজননকেন্দ্র তৈরি করেন। শুক্রবার রাতে দুর্বৃত্তরা পশু লুট করতে এসে তাঁর বাবাকে হত্যা ও মাকে মারধর করেছে। এ ঘটনায় শেরপুর থানায় মামলা করবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।

জানতে চাইলে শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবীর বলেন, এ ঘটনার সঙ্গে কতজন জড়িত, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। অপরাধীদের শনাক্ত করে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।