শার্শায় কথিত বন্দুকযুদ্ধে একজন নিহত

যশোরের শার্শা উপজেলার পাঁচভুলোট সীমান্তে বিজিবির খুলনা ব্যাটালিয়ন (বিজিবি ২১) ও পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে মো. সুজন (২৭) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন। গতকাল শুক্রবার রাত নয়টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

বিজিবির ভাষ্য, চোরাচালানিদের ছোড়া বোমার আঘাতে আহত হয়েছেন বিজিবির হাবিলদার আকমল হোসেন। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) ভর্তি করা হয়েছে। বন্দুকযুদ্ধের ঘটনার পর নিহত সুজনের চারজন সহযোগীকে আটক করেছে বিজিবি। আটককৃতরা হলেন যশোরের শার্শা উপজেলার অগ্রভুলোট মাঝেরপাড়া গ্রামের শাহ আলম (৪০), পার্শ্ববর্তী কাগমারি গ্রামের শিমুল হোসেন (১৫), হাবিবুর রহমান (১৫) ও আশিক হোসেন (১৭)। ঘটনাস্থল থেকে একটি বন্দুক, ৩০০ বোতল ফেনসিডিল ও দুটি হাতবোমা উদ্ধার করা হয়েছে।

এ ঘটনায় বিজিবির পক্ষ থেকে বেনাপোল বন্দর থানায় একটি মামলা করা হয়েছে।

বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, গতকাল রাত আটটার দিকে সুজন ও শিমুল দুটি ভারী ব্যাগ নিয়ে শার্শা উপজেলার পাঁচভুলোট সীমান্তের দিকে যাচ্ছিলেন। এ সময় ওই এলাকায় বিজিবির নিয়মিত টহল চলছিল। সুজন ও শিমুলকে দেখে সন্দেহ হলে টহল কমান্ডার আকমল হোসেন তাঁদের দাঁড়াতে বলেন। তখন আকমল হোসেনকে লক্ষ্য করে বোমা ছুড়ে দৌড় দেন সুজন। বোমার স্প্লিন্টারে আকমল হোসেন গুরুতর আহত হন। এ সময় বিজিবির অন্য সদস্যরা সুজন ও শিমুলকে আটক করেন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সুজন তাঁর কাছে অস্ত্র থাকার কথা স্বীকার করেন। তাঁকে নিয়ে অগ্রভুলোট গ্রামের আমবাগানে অস্ত্র উদ্ধারে যৌথ অভিযানে যায় বিজিবি ও বেনাপোল বন্দর থানা–পুলিশ। সেখানে যাওয়ার পর সুজনের সহযোগীরা অভিযানকারীদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়েন। আত্মরক্ষার্থে অভিযানকারীরাও গুলি ছোড়েন। কিছুক্ষণ পর সুজনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। তাঁকে উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসকেরা সুজনকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহত সুজন যশোরের শার্শা উপজেলার কাগজপুকুর গ্রামের মো. মোস্তফার ছেলে।

বিজিবির টহল দলকে লক্ষ্য করে চোরাচালানি চক্র বোমা হামলা চালায় বলে জানান বিজিবির খুলনা ব্যাটালিয়নের (বিজিবি ২১) অধিনায়ক লে. কর্নেল ইমরান উল্লাহ সরকার। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, বোমার স্প্লিন্টার বিজিবির হাবিলদার আকমল হোসেনের বাঁ চোখ দিয়ে ঢুকে মস্তিষ্কে আঘাত করে। গুরুতর অবস্থায় তাঁকে ঢাকার সিএমএইচে ভর্তি করা হয়েছে। এই হামলার সময় বিজিবি ধাওয়া দিয়ে দুজনকে আটক করে। তাঁদের মধ্যে সুজন নামের একজনের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী তাঁকে নিয়ে অগ্রভুলোট আমবাগানে অস্ত্র উদ্ধারে যাওয়া হয়। সেখানে চোরাচালানিরা বিজিবির সদস্যদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। বিজিবিও পাল্টা গুলি ছোড়ে। এতে সুজন নামের ওই ব্যক্তি গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান।