চার ছাত্রীকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আটক

আটক মোস্তাফিজুর রহমান। ছবি: সংগৃহীত
আটক মোস্তাফিজুর রহমান। ছবি: সংগৃহীত

নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লায় চার ছাত্রীকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগে এক মাদ্রাসার অধ্যক্ষকে আটক করেছে র‍্যাব-১১। উপজেলার ভূঁইগড় এলাকা থেকে শনিবার দুপুরে তাঁকে আটক করে হয়।

আটক শিক্ষকের নাম মোস্তাফিজুর রহমান (৩৪)। তিনি নেত্রকোনা জেলার সদর উপজেলার কাওয়ালকোনা এলাকার বাসিন্দা।

র‍্যাব সূত্রে জানা যায়, মোস্তাফিজুর রহমান উপজেলার ভূঁইগড় এলাকায় অবস্থিত দারুল হুদা আল ইসলামিয়া মহিলা মাদ্রাসা ও এতিমখানার অধ্যক্ষ। ছয় বছর আগে তিনিই ওই মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেন।

প্রত্যক্ষদর্শী ও র‍্যাব জানায়, ভূঁইগড় এলাকায় একটি চারতলা ভবনের নিচতলায় অবস্থিত দারুল হুদা আল ইসলামিয়া মহিলা মাদ্রাসা ও এতিমখানা। ওই মাদ্রাসায় ৯৫ জন ছাত্রী লেখাপড়া করছে। এর মধ্যে ৩০ থেকে ৩৫ জন ছাত্রী মাদ্রাসায় আবাসিকভাবে লেখাপড়া করছে।

র‍্যাব-১১–এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আলেপ উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, তাঁদের কাছে অভিযোগ আসে, অধ্যক্ষ মোস্তাফিজুর মাদ্রাসার চার ছাত্রীকে গত তিন মাসে ধর্ষণ করেছেন। অভিযোগের ভিত্তিতে র‍্যাব তদন্তে নামে। প্রাথমিকভাবে তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়। পরে শনিবার দুপুরে অভিযান চালিয়ে মোস্তাফিজুরকে মাদ্রাসা থেকে আটক করা হয়।

আলেপ উদ্দিন আরও বলেন, ধর্ষণের শিকার অনেক ছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। ধর্ষণের সময় চিৎকার করলে তাদের মারধর করতেন মোস্তাফিজ। যৌন নিপীড়নের শিকার ছাত্রীদের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে জানান তিনি।

র‍্যাব-১১ কোম্পানি কমান্ডার মেজর তালুকদার নাজমুস সাকিব সাংবাদিকদের বলেন, ‘ওই অধ্যক্ষের মুঠোফোনে আমরা কিছু রেকর্ড পেয়েছি। সেগুলো আমরা খতিয়ে দেখছি। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।’

প্রসঙ্গত, এর আগে গত ২৭ জুন নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার সিদ্ধিরগঞ্জে একটি বিদ্যালয় থেকে ছাত্রীদের ধর্ষণের অভিযোগে আরিফুল ইসলাম সরকার ওরফে আশরাফুল (৩০) নামের এক শিক্ষক গ্রেপ্তার হন। গত পাঁচ বছরে পঞ্চম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির অন্তত ২০ শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ করেছেন আরিফুল।