চাঁদপুরে গৃহবধূকে কুপিয়ে হত্যা, একজন আটক

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলায় জাহেদা আক্তার (২০) নামের এক গৃহবধূকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। উপজেলার রূপসা দক্ষিণ ইউনিয়নের চরমগুয়া গ্রামে আজ সোমবার সকালে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত জাহেদা উপজেলার চরমগুয়া গ্রামের মৃত সেলিম ব্যাপারীর মেয়ে। সন্দেহভাজন আসামি পলাতক আছেন। তবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁর ছোট ভাইকে আটক করেছে পুলিশ।

পুলিশ ও নিহত গৃহবধূর পরিবার সূত্রে জানা গেছে, দুই বছর আগে উপজেলার সন্তোষপুর গ্রামের মো. সোহেল নামের এক যুবকের সঙ্গে বিয়ে হয় জাহেদার। বিয়ের পর সোহেল বিদেশে চলে যাওয়ায় জাহেদা বাবার বাড়িতেই থাকতেন। জাহেদাকে দীর্ঘদিন ধরে উত্ত্যক্ত করে আসছিলেন প্রতিবেশী আবুল বাশারের ছেলে সুজন খান (২৮)। স্বামীকে তালাক দিয়ে তাঁকে বিয়ে করার জন্য জাহেদাকে চাপও দিতেন সুজন। আজ সোমবার ভোরে জাহেদার পরিবারের কোনো সদস্য না থাকার সুযোগে ঘরে ঢুকে জাহেদাকে অনৈতিক প্রস্তাব দেন সুজন। রাজি না হওয়ায় সঙ্গে থাকা ধারালো দা দিয়ে জাহেদাকে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকেন তিনি। এ সময় জাহেদার চিৎকার শুনে আশপাশের লোকেরা এগিয়ে এলে পালিয়ে যান সুজন। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান।

জাহেদার চাচা মো. আহসান উল্লাহ বলেন, সুজন এলাকায় মাদক ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত। অনেক দিন ধরে জাহেদাকে উত্ত্যক্ত করে আসছিলেন সুজন। অনৈতিক প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় কুপিয়ে জাহেদাকে হত্যা করেন সুজন। এ ব্যাপারে থানায় মামলা করবেন বলেও জানান তিনি।

ফরিদগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. অহিদুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সুজনের ছোট ভাই তৌফিক খানকে আজ দুপুরে আটক করা হয়েছে। ঘটনার পর পালিয়ে যাওয়ায় সুজনকে আটক করা যায়নি। তবে তাঁকে আটকের চেষ্টা চলছে। ময়নাতদন্তের জন্য নিহত গৃহবধূর লাশ চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় হত্যা মামলা দায়ের প্রক্রিয়াধীন।