নিখোঁজের আড়াই মাস পর স্কুলছাত্রী উদ্ধার

টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলায় নিখোঁজ হওয়ার আড়াই মাস পর অষ্টম শ্রেণিতে পড়ুয়া স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল সোমবার বিকেলে মেয়েটিকে নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলা থেকে উদ্ধার করা হয়। অপহরণ ও শিশু ধর্ষণের অভিযোগে মেয়েটির আপন ফুপা মানিক খানকে (৩০) গ্রেপ্তার করে আজ মঙ্গলবার টাঙ্গাইল আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ।

গতকাল রাতে মেয়েটির মা অপহরণ এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে সখীপুর থানায় মামলা করেন।

গ্রেপ্তার মানিক খান নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলার গোহালাকান্দা গ্রামের সোবহান খানের ছেলে। মানিক বছর তিনেক আগে গাজীপুরে পোশাক কারখানায় চাকরি করার সময় ওই স্কুলছাত্রীর ফুপুকে বিয়ে করেন।

সখীপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ওমর ফারুক জানান, গত ১৪ মে মেয়েটি সখীপুর উপজেলার গ্রামের বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়। কয়েক দিন খোঁজাখুঁজি করে মেয়েকে না পেয়ে মেয়ের মা সখীপুর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। সেই জিডির সূত্র ধরে পুলিশ নেত্রকোনার পূর্বধলা থেকে ওই মেয়েকে উদ্ধার করে।

থানায় থাকা অবস্থায় মেয়েটি গতকাল সন্ধ্যায় বলে, ‘ফুপা আমাকে নিয়ে যাওয়ার প্রথম ১৫ দিন আমি কীভাবে কোথায় গিয়েছিলাম কিছু মনে পড়ছে না। মনে হয় আমাকে “তাবিজ” করে নিয়েছিল। এইটুকু আমার মনে আছে যে মাস দুয়েক আগে একজন হুজুর আমাদের বিয়ে পড়ান।’

ফুপাকে কেন বিয়ে করলে—এ প্রশ্নের জবাবে মেয়েটি বলে, ‘আমি এগুলো কিছুই বুঝতে পারিনি।’

গ্রেপ্তার হওয়া মানিক খানের দাবি, তিনি স্কুলছাত্রীকে অপহরণ ও ধর্ষণ করেননি। মেয়ে স্বেচ্ছায় তাঁর সঙ্গে নেত্রকোনায় গ্রামের বাড়ি গেছে। সেখানে তাঁরা বিয়ে করেন। তিনি বলেন, ‘স্ত্রী (মেয়েটির ফুপু) আমার চেয়ে ১০ বছরের বড় থাকায় দাম্পত্য জীবনে আমরা সুখী ছিলাম না।’

সখীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমির হোসেন জানান, মেয়েটির মা বাদী হয়ে মানিক খানের বিরুদ্ধে অপহরণ ও ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেছেন। মানিককে আজ সকালে টাঙ্গাইল আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। মেয়েটির শারীরিক পরীক্ষার জন্য টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।