কাঁচা মরিচের কেজি ২৫০ টাকা!

কক্সবাজারের চকরিয়ায় কাঁচা মরিচসহ বেশির ভাগ সবজি বিক্রি হচ্ছে কয়েকগুণ বেশি দামে। চকরিয়া, কক্সবাজার, ৩০ জুলাই। ছবি: প্রথম আলো
কক্সবাজারের চকরিয়ায় কাঁচা মরিচসহ বেশির ভাগ সবজি বিক্রি হচ্ছে কয়েকগুণ বেশি দামে। চকরিয়া, কক্সবাজার, ৩০ জুলাই। ছবি: প্রথম আলো

বন্যার আগে কক্সবাজারের চকরিয়ায় প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছিল ৫০-৬০ টাকায়। নয় দিনের বন্যার পর সেই মরিচের দাম গিয়ে ঠেকেছে কেজি প্রতি ২৫০ টাকায়। প্রায় পাঁচ গুণ বেশি দামে মরিচ কিনতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে সাধারণ ক্রেতাদের।

গত ৬ থেকে ১৪ জুলাই পর্যন্ত হওয়া টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে ডুবে যায় চকরিয়া ও পেকুয়া উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকা। পানিবন্দী হয়ে পড়ে লাখো মানুষ। বন্যার সময় দুই উপজেলার বেশির ভাগ সবজি খেত পানিতে ডুবে যাওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন প্রায় দেড় হাজার কৃষক।

মঙ্গলবার চকরিয়া পৌরশহরের কাঁচাবাজারে সরেজমিনে দেখা যায়, জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহেও প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হয়েছে ৫০-৬০ টাকায়। কিন্তু এখন বিক্রেতারা প্রতি কেজি কাঁচা মরিচের দাম চাইছেন ২৫০ টাকা। আকাশচুম্বী দাম শুনে বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ছেন ক্রেতারা। মরিচের পাশাপাশি দাম বেড়েছে অন্যান্য সবজিরও। প্রতি কেজি ঢ্যাঁড়স ৪৫-৫০ টাকা, করলা ৬৫-৭০ টাকা, বেগুন ৫৫-৬০ টাকা, ঝিঙে ও চিচিঙ্গা ৫০ টাকা, বরবটি ৬০ টাকা, কাঁকরোল ৬০ টাকা, শসা ৭০ টাকা, গাঁজর ৭০ টাকা ও টমেটো ১৪০-১৫০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।

কাঁচা মরিচের এত দাম চাওয়ার কারণ জানতে চাইলে বিক্রেতা জাহাঙ্গীর আলম বলেন, বন্যার পানিতে সব খেত তলিয়ে যাওয়ায় ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বন্যা পরিস্থিতি উন্নত হওয়ার পর গত ১৫ জুলাই থেকে ২২০ টাকা কেজিতে কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছিল। দাম বাড়তে বাড়তে এখন ২৫০ টাকায় এসে ঠেকেছে।

আরেক বিক্রেতা আবুল কালাম বলেন, আগে চকরিয়ার সবজি কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জের আড়তে যেত। অথচ এখন আড়তে সবজি যাচ্ছে লামা ও আলীকদম থেকে। বন্যার কারণে চকরিয়ার বেশির ভাগ খেতের সবজি নষ্ট হয়ে গেছে। এ কারণে সবজির দাম বেড়েছে।

জানতে চাইলে চকরিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আতিক উল্লাহ প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমনের বীজতলা থেকে শুরু করে সব সবজি খেত সপ্তাহ খানিক পানির নিচে ছিল। তবে সবজির বাম্পার ফলন হওয়ায় বাজারে এখনো অত প্রভাব পড়েনি।’

পেকুয়া বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক মিনহাজ উদ্দিন বলেন, সবজির দাম আকাশচুম্বী হয়ে গেছে। বাজার তদারকি করেও দাম বৃদ্ধি ঠেকানো যাচ্ছে না। বন্যায় ফসল নষ্ট হয়ে যাওয়ায় বিক্রেতাদেরও বাধ্য হয়ে বেশি দামে ফসল বিক্রি করতে হচ্ছে।