যাত্রাবাড়ীতে কিশোর রিফাত হত্যায় এক আসামি রিমান্ডে

নিহত রিফাত
নিহত রিফাত

রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে কিশোর রিফাত (১৭) হত্যা মামলায় জড়িত সন্দেহে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাঁর নাম মহসিন (১৮)। ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত মঙ্গলবার মহসিনকে তিন দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দিয়েছেন।

যাত্রাবাড়ী থানা-পুলিশ আদালতকে বলেছে, সবার সামনে রিফাতকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডে মহসিন সরাসরি জড়িত। মহসিনকে দশ দিন রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করলে আদালত তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

কিশোর রিফাত হত্যা মামলায় দুই আসামি পলাতক আছেন। তাঁরা হলেন, বরিশালের বানারীপাড়া থানার নতুন হাট কাশেম ব্যাপারী এলাকার আবদুল কুদ্দুস ব্যাপারীর ছেলে রাকিব (২২) এবং কুমিল্লার বরুড়া থানার বেউলাঠন গ্রামের আবুল বাশারের ছেলে নাসিম (১৮)। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, এই মামলার আসামিদের নির্দিষ্ট কোনো পেশা নেই।

গত রোববার দুপুরে যাত্রাবাড়ীর দক্ষিণ শেখদীর পাঁচ নম্বর গলির সামনে পৌঁছানোর পর রিফাতকে এলোপাতাড়িভাবে মারধর শুরু করে কয়েকজন। একপর্যায়ে রিফাতের বুকে ছুরি মারে প্রধান আসামি রাকিব। পরে তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। এ ঘটনায় রিফাতের মা সাহিদা বেগম বাদী হয়ে যাত্রাবাড়ী থানায় তিনজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন।

মামলার আসামি রাকিব
মামলার আসামি রাকিব

মামলায় সাহিদা বলেন, মামলার আসামি রাকিব, মহসিন ও নাসিম তাঁর ছেলে রিফাতের পূর্বপরিচিত। এক বছর আগে তাঁর ছোট ছেলে রিমনের বন্ধু সাগরের মুঠোফোন ছিনিয়ে নেয় এই তিন আসামি। পরে রিফাত প্রধান আসামি রাকিবকে ওই মোবাইল ফোন ফিরিয়ে দেওয়ার অনুরোধ করে। এতে রাকিব ক্ষিপ্ত হয়। নানাভাবে রিফাতকে হুমকি দিয়ে আসছিল। রিফাতকে সবার সামনে চাকু মেরে রাকিবেরা হত্যা করে পালিয়ে যায়।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা যাত্রাবাড়ী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. মুকিত হাসান আদালতকে প্রতিবেদন দিয়ে বলেন, একটা মোবাইল ফোনের বিরোধের জেরে রাকিবসহ অন্য আসামিরা রিফাতকে হুমকি দিয়ে আসছিল। এর জের ধরে রিফাতকে ‘নৃশংসভাবে’ হত্যা করে আসামিরা।

নিহত রিফাতের বোন আনোয়ারা খাতুন মঙ্গলবার প্রথম আলোকে বলেন, দিনে-দুপুরে সবার সামনে তাঁর ভাই রিফাতকে হত্যা করেছে রাকিবরা। তাঁদের ফাঁসি চান তিনি।