নুসরাতকে যেমন দেখেছিলেন ফেনীর চিকিৎসকেরা

নুসরাত জাহান।
নুসরাত জাহান।

৬ এপ্রিল বেলা ১১টা। সোনাগাজী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে অ্যাম্বুলেন্স যোগে নুসরাত নামের এক পোড়া রোগীকে ফেনী সদর হাসপাতালে আনা হয়। ভর্তি শেষে দেখা যায়, তাঁর শরীর ৭০ থেকে ৮০ ভাগ পুড়ে গেছে।

মঙ্গলবার ফেনীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মামুনুর রশিদের আদালতে সাক্ষ্য দানকালে এসব কথা বলেন মো. আবু তাহের। তিনি ফেনী আধুনিক সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও)।

আবু তাহের আদালতকে বলেন, রোগীর (নুসরাত জাহান) গলা, পেটের সামনের ও পিঠের পুরো অংশ, দুই হাত ও দুই পা পুরোটাই পোড়া দেখা গেছে। তাৎক্ষণিক রোগীর জরুরি চিকিৎসা শেষ করে ওই রোগীকে ঢাকা মেডিকেল কলেজের বার্ন ইউনিটে স্থানান্তরের পরামর্শ দেওয়া হয়। সেখান থেকে তাঁকে অ্যাম্বুলেন্স যোগে নেওয়া হয়।

আবু তাহের বলেন, ফেনী সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়ার সময় তাঁকে সহায়তা করেন জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক আসিফ ইকবাল।

এ ছাড়া মঙ্গলবার সাক্ষ্য দেন সোনাগাজী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসা কর্মকর্তা আরমান বিন আবদুল্লাহ। তিনি আদালতে বলেন, ৬ এপ্রিল সকালে তিনি হাসপাতালের জরুরি বিভাগে দায়িত্বে ছিলেন। সকাল আনুমানিক ৯টা ৫৫ মিনিটের সময় একজন পুলিশ সদস্যের মাধ্যমে আগুনে পুড়ে যাওয়া একজন রোগীকে (নুসরাত জাহান) সিএনজি চালিত অটোরিকশা যোগে হাসপাতালে আনা হয়। প্রাথমিক পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, রোগীর শরীরের ৭০ ভাগ পুড়ে গেছে। তাৎক্ষণিক রোগীকে সাধারণ স্যালাইন দেওয়া হয় ও ‘ওয়াশ’ করে রোগীর শারীরিক অবস্থার অবনতির আশঙ্কায় ফেনী সদর হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। সোনাগাজী হাসপাতালে ওই রোগী আনুমানিক ১০-১৫ মিনিট ছিল।

এ নিয়ে মঙ্গলবার পর্যন্ত নুসরাত জাহান রাফি হত্যা মামলায় ৯২ সাক্ষীর মধ্যে ৬৩ জনের সাক্ষ্য ও জেরা শেষ হয়েছে।

এদিকে বুধবার (৩১ জুলাই) নুসরাত হত্যা মামলায় আদালতে আরও নয়জনের সাক্ষ্য দেওয়ার কথা রয়েছে। এসব সাক্ষী হলেন, আসামিদের জবানবন্দি গ্রহণকারী দুই জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম মো. জাকির হোসাইন ও শরাফ উদ্দিন আহমেদ, চট্টগ্রাম সিআইডির কর্মকর্তা মো. শামসুল আলম, রাসায়নিক পরীক্ষক পিংকু পোদ্দার, রোমানা আক্তার , মো. নজরুল ইসলাম,ডিএনএ পরীক্ষক মো. আশরাফুল আলম, আহম্মেদ ফেরদৌস ও ঢাকার ফরেনসিক ল্যাবের পিবিআই পুলিশ পরিদর্শক।