টেকনাফে বিজিবির সঙ্গে 'বন্দুকযুদ্ধে' নিহত ১

কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত সোয়া একটার দিকে উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের বাহারছড়ার কুড়াবুজ্জা পাড়ার নৌঘাট এলাকায় কথিত বন্দুকযুদ্ধের এ ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থল থেকে ২০ হাজার ইয়াবা, একটি দেশি বন্দুক, দুটি তাজা কার্তুজ, দুটি ধারালো কিরিচ এবং নিবন্ধনবিহীন একটি অটোরিকশা জব্দ করার কথা জানিয়েছে বিজিবি।

নিহত ব্যক্তির নাম মো. ইব্রাহিম। তিনি উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের জাদিমুড়া এলাকার বাসিন্দা। বিজিবির দাবি, নিহত ইব্রাহিম মাদক ব্যবসায়ী ছিলেন।

বন্দুকযুদ্ধের তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন বিজিবি টেকনাফ ২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ ফয়সল হাসান খান। তিনি বলেন, গতকাল রাতে মেরিন ড্রাইভ সড়ক দিয়ে টেকনাফের দিকে তিন-চারজন যাত্রীসহ একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা আসছিল। বিজিবির কুড়েরমুখ তল্লাশিচৌকিতে টহলরত দল অটোরিকশাটিকে থামার সংকেত দিলে চালক সংকেত না মেনে পালানোর চেষ্টা করে। সঙ্গে সঙ্গে দুই কিলোমিটার দূরের বিজিবির আরেক টহল দলকে খবর দেওয়া হলে তারা মেরিন ড্রাইভ সড়কের ওপর শক্ত অবস্থান নেয়। ওই সময় বিজিবিকে লক্ষ্য করে অটোরিকশা থেকে গুলি চালানো হলে বিজিবির দুই সদস্য আহত হন। তখন বিজিবি পাল্টা গুলি চালায়। তিনি জানান, তিন-চার মিনিট ‘গোলাগুলির’ পর ঘটনাস্থল থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় এক ব্যক্তিকে উদ্ধার করে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখান থেকে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করা হলে চিকিৎসক আহত ব্যক্তিকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। পরে নিহত ব্যক্তির পরিচয় সম্পর্কে জানা যায়।


টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তনয় রুদ্র জানান, রাতে মো. ইব্রাহিম নামের এক ব্যক্তিকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় নিয়ে আসা হয়। তাঁর দেহে দুটি গুলির চিহ্ন ছিল। তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় কক্সবাজার সদর হাসপাতালে স্থানান্তরের পরামর্শ দেওয়া হয়। এ ছাড়া বিজিবির দুই সদস্য মো. আহসান ও মো. ইমরানকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়।

লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ ফয়সল হাসান খান জানান, নিহত ইব্রাহিমের লাশ কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে রাখা আছে। মারা যাওয়ার আগে ইব্রাহিম তাঁর তিন সঙ্গী নুর হোসেন, মো. আবুল কাশেম ও মো. তাহেরের নাম বলে গেছেন।