ঢাবির উপাচার্য প্যানেল নির্বাচন তিন কারণে বর্জন সাদা দলের

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০৫ সদস্যের বর্তমান সিনেট ‘প্রশ্নবিদ্ধ’—এমন অভিযোগ তুলে আজ বুধবার বিকেলে অনুষ্ঠেয় উপাচার্য প্যানেল নির্বাচন বর্জন করল বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনপি-জামায়াত সমর্থক শিক্ষকদের সংগঠন সাদা দল। ‘কলঙ্কিত’ ডাকসু নির্বাচনসহ তিনটি কারণ দেখিয়ে নির্বাচন বর্জন করেছে সংগঠনটি।

সাদা দলের নির্বাচন বর্জনের বিষয়টি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন সংগঠনের আহ্বায়ক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক এ বি এম ওবায়দুল ইসলাম।

অধ্যাপক এ বি এম ওবায়দুল ইসলাম আজ বুধবার দুপুরে প্রথম আলোকে বলেন, তিনটি কারণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান সিনেট প্রশ্নবিদ্ধ। প্রথমত, সিনেটের ৩৫ জন শিক্ষক-প্রতিনিধি নির্বাচনের সময় তিনটি প্যানেল হয়েছিল। নীল দল থেকে প্যানেল হয়েছিল দুটো। এর মধ্যে একটি প্যানেলকে প্রশাসন অবৈধভাবে বাদ দিয়েছিল, এটা অন্যায়। দ্বিতীয়ত, রেজিস্টার্ড গ্র্যাজুয়েট প্রতিনিধি নির্বাচনের সময় বিভিন্ন কেন্দ্রে, বিশেষ করে ঢাকার বাইরের কেন্দ্রগুলোয় সন্ত্রাস সৃষ্টি করে আমাদের সমর্থিত প্যানেলের বিজয় ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে। তৃতীয়ত, ডাকসুতে একটি কলঙ্কিত নির্বাচন হয়েছে, যার ফলাফল নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। ‘অস্বচ্ছ’ সিনেটে উপাচার্য প্যানেল নির্বাচন আয়োজনের প্রতিবাদে সাদা দল নির্বাচনে কোনো প্যানেল দিচ্ছে না বলেও জানান এ বি এম ওবায়দুল ইসলাম।

এদিকে আজ বেলা সাড়ে তিনটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে সিনেটের বিশেষ অধিবেশনে তিনজনের উপাচার্য প্যানেল মনোনয়ন দেওয়া হবে। অধিবেশনে সিনেটের চেয়ারম্যান ও উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামান সভাপতিত্ব করবেন ৷ নির্বাচনে অংশ নিতে তিন সদস্যের প্যানেল চূড়ান্ত করেছে আওয়ামী লীগ –সমর্থক শিক্ষকদের সংগঠন নীল দল। প্যানেলে আছেন বর্তমান উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামান, সহ–উপাচার্য (প্রশাসন) মুহাম্মদ সামাদ ও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি এ এস এম মাকসুদ কামাল।

সাদা দল কোনো প্যানেল না দেওয়ায় এবং অন্য কোনো প্যানেল না হওয়ায় নীল দলের প্যানেলই সিনেটে চূড়ান্ত মনোনয়ন পেতে যাচ্ছে। মনোনয়নের পর তা বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য ও রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের কাছে পাঠানো হবে। তিনজনের মধ্যে থেকে একজনকে উপাচার্য পদে নিয়োগ দেবেন রাষ্ট্রপতি।