দুদকের মামলায় শিল্পপতি ও যুবদল নেতা কারাগারে

ফরিদপুরে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় গোল্ডেন জুট মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. মনিরুজ্জামানকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে জেলার বিশেষ দায়রা জজ আদালতের হাকিম মো. সেলিম মিয়া এ আদেশ দেন।

মনিরুজ্জামান ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার আড়পাড়া গ্রামের বাসিন্দা। তিনি যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহসভাপতি এবং মধুখালী উপজেলার কামারখালীতে অবস্থিত গোল্ডেন জুট মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক।

দুদক সূত্রে জানা যায়, মনিরুজ্জামান ২০০২ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত আয়কর রিটার্নের একটি প্রতিবেদন দুদকে জমা দেন। ওটি পর্যালোচনা করে দেখা যায়, তিনি ওই প্রতিবেদনে ৯৮ লাখ টাকার কোনো হিসাব দেননি।
এ প্রেক্ষাপটে দুদকের ফরিদপুর সমন্বিত কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক রাজকুমার সাহা গত ২৭ মে দুর্নীতি দমন প্রতিরোধ আইনে (২০০৪–এর ২৬(১) ধারায়) একটি মামলা করেন। ওই মামলা দায়েরের পর মনিরুজ্জামান হাইকোর্ট থেকে ছয় সপ্তাহের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন জামিন নেন।

ফরিদপুর দুদকের পিপি নারায়ণ চন্দ্র দাস জানান, ওই জামিনের মেয়াদ ২৮ জুলাই শেষ হয়ে যায়। ওই দিন মনিরুজ্জামান আদালতে নিজে হাজির না হয়ে সময় প্রার্থনা করেন। আদালত তাঁকে হাজির হওয়ার জন্য দুই দিন সময় দেন। গতকাল বিকেলে মনিরুজ্জামান জেলার বিশেষ দায়রা জজ আদালতে হাজির হয়ে তাঁর আইনজীবী মো. খসরুর মাধ্যমে জামিন প্রার্থনা করেন। দুদক এ জামিনের বিরোধিতা করে বক্তব্য দেয়। দুই পক্ষের শুনানি শুনে আদালত মনিরুজ্জামানের জামিনের আবেদন নাকচ করে দিয়ে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।