টাইগার আইটির বিষয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত

নির্বাচন কমিশন
নির্বাচন কমিশন

টাইগার আইটির সঙ্গে নির্বাচন কমিশন (ইসি) তাদের চলমান কর্মকাণ্ড অব্যাহত রাখবে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বিশ্ব ব্যাংকের তালিকায় দুর্নীতিগ্রস্ত প্রতিষ্ঠান হিসেবে নাম উঠেছে টাইগার আইটির।

নির্বাচন কমিশনার শাহাদাত হোসেন চৌধুরী আজ বুধবার প্রথম আলোকে বলেন, বিষয়টি মাত্র জেনেছি। আরও জানতে হবে, বুঝতে হবে। বিষয়টি নিয়ে কমিশনে আলোচনা করতে হবে। আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

২০১৪ সালে ইসির স্মার্টকার্ড মুদ্রণ সংক্রান্ত দরপত্রে দুর্নীতির আশ্রয় নেওয়ার অভিযোগে গত ২৪ এপ্রিল বিশ্ব ব্যাংক টাইগার আইটিকে সাড়ে নয় বছরের জন্য নিষিদ্ধ করেছে। প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জিয়াউর রহমানকে নিষিদ্ধ করেছে সাড়ে ছয় বছরের জন্য। ২০০৭ সালে বাংলাদেশে জাতীয় পরিচয়পত্র প্রকল্প চালু হওয়ার পর থেকে টাইগার আইটি ইসির এ সংক্রান্ত কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত হয়। বর্তমানে জাতীয় পরিচয়পত্র সংক্রান্ত তথ্যভান্ডারটি রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব পালন করছে।

২০০৭ সালে ইউএনডিপির অনুদানে জাতীয় পরিচয়পত্রের যাত্রা শুরু হয়েছিল। নির্বাচন কমিশনার শাহাদাত হোসেন চৌধুরী তখন এই প্রকল্পের পরিচালক ছিলেন। এ বিষয় জানতে চাইলে আজ তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ভোটার তথ্যভান্ডার জাতীয় সম্পদ। অনেক কষ্টের মধ্য দিয়ে এটি অর্জিত হয়েছে। তাই ব্যবসা ও রাজনৈতিক স্বার্থে এটিকে ব্যবহার করা যাবে না। স্বার্থের ঊর্ধ্বে থেকে ভোটার তথ্যভান্ডার সংরক্ষণ করতে হবে, ব্যবসা করতে গেলে এটিকে টেকানো যাবে না।

ইসির জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বিশ্ব ব্যাংক টাইগার আইটিকে নিষিদ্ধ করার সংবাদ মঙ্গলবার প্রথম আলোতে প্রকাশের পরপরই তা ইসির কর্মকর্তাদের নজরে আসে। সচিব মো. আলমগীর বিষয়টি নিয়ে আজ নিবন্ধন অনুবিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসতে পারেন।

এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার বলেন, এ সংক্রান্ত একটি সংবাদ আমার নজরে এসেছে। তবে এ বিষয়ে আমি এখনই কোনো মন্তব্য করব না।