ছাদের খোয়া-বালু উঠে গেছে বৃষ্টিতে

পটুয়াখালী
পটুয়াখালী

পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলার মির্জাগঞ্জ কমিউনিটি ক্লিনিক সংস্কারে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। ওই ক্লিনিকের কর্মীরা বলছেন, ঠিকাদার দরপত্রের শিডিউল না মেনে যেনতেনভাবে কাজ করেছেন। বৃষ্টিতেই ক্লিনিকের ছাদের খোয়া ও বালু উঠে গেছে। এদিকে স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর (এইচইডি), পটুয়াখালী কার্যালয়ের কর্মকর্তারা সরেজমিন পরিদর্শন করে মেরামতকাজ নিয়ে অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন। ওই ছাদ ভেঙে নতুন করে রড বেঁধে ছাদ ঢালাইয়ের জন্য ঠিকাদারকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
মির্জাগঞ্জ কমিউনিটি ক্লিনিক ভবন দীর্ঘদিনের পুরোনো। বৃষ্টি হলে ভবনের ছাদ চুইয়ে পানি পড়ে। দরজা-জানালা ভাঙাচোরা। দেয়ালের পলেস্তারা খসে পড়েছে।
এইচইডির পটুয়াখালী কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, চলতি অর্থবছরে ক্লিনিকের মেরামতের জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়। ভবনের ছাদের ওপর নতুন করে ৮ মিলি রড দিয়ে ‘আরসিপ্যাড’ আড়াই ইঞ্চির পুরু ঢালাই, পুরো ফ্লোরে টাইলস বসানোসহ জানালা-দরজা মেরামত, দেয়াল পলেস্তারা খসে পড়া স্থানে নতুন করে পলেস্তারা করার কথা রয়েছে। মেসার্স মনিবুর রহমান নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ২১ মার্চ সংস্কারের জন্য কার্যাদেশ পায়। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৪ লাখ ৮০ হাজার টাকা।
এদিকে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা ছাদের আরসিপ্যাড ঢালাইসহ সংস্কারের কাজ সম্পন্ন করে চলেও যাওয়ার পর বৃষ্টিতেই ছাদের ঢালাইয়ের সিমেন্ট, বালু উঠে খোয়া বের হয়ে গেছে। সংস্কারকাজে অনিয়মের বিষয়ে নজরে এলে কমিউনিটি ক্লিনিক পরিচালনা কমিটির সদস্য বিষয়টি স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের পটুয়াখালীর কার্যালয়কে জানায়। এ সম্পর্কে দায়িত্বরত কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার (সিএইচসিপি) মনিরা আখতার জানান, ভবন সংস্কারকাজের অনিয়মের বিষয়ে তিনি প্রতিবাদ করেছিলেন, কিন্তু কোনো কাজ হয়নি।
এ বিষয়ে পটুয়াখালী স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী শাওন শাহারিয়ার প্রথম আলোকে বলেন, নিয়ম রয়েছে ছাদের রড বাঁধা ও ঢালাইয়ের আগে অধিদপ্তরের প্রকৌশলীদের অবহিত এবং তাঁদের উপস্থিতিতে ঢালাই সম্পন্ন হবে। কিন্তু এখানে তাঁদের অবহিত করা হয়নি। অনিয়মের খবর পেয়ে গত ১৬ জুলাই সরেজমিনে পরিদর্শন করে অনিয়মের সত্যতা পাওয়া গেছে। ওই দিনই ঠিকাদারকে চিঠি দিয়ে বলা হয়েছে, যেহেতু ছাদ ঢালাইয়ের সময় তাঁদের জানানো হয়নি, তাই এই ছাদ ভেঙে নতুন করে ছাদ দিতে হবে।
এ বিষয়ে জানতে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রধান মনিবুর রহমানের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলেও তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
পটুয়াখালী স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী নাজমুল হক বলেন, ‘আমি এখানে নতুন যোগদান করেছি। বিষয়টি জানার পর ঠিকাদারকে কোনো অর্থ ছাড় দেওয়া হয়নি। সরেজমিনে দেখে দরপত্র অনুযায়ী শতভাগ কাজ সম্পন্ন করা হবে।’