মক্কায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে

প্রথম আলো ফাইল ছবি
প্রথম আলো ফাইল ছবি

হজ উপলক্ষে পবিত্র মক্কার চারপাশ ঘিরে কড়া নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এখন মক্কায় ঢুকতে পাসপোর্ট অথবা আকামা (কাজের অনুমতিপত্র) দেখাতে হয়। পথঘাটে চলছে তল্লাশি। তাই সঙ্গে পরিচয়পত্র রাখতে হয়। জেদ্দা থেকে মক্কা যাওয়ার পথে গেটের কাছে লেখা ‘নো এনট্রান্স ফর নন–মুসলিম’। মক্কায় অমুসলিমরা প্রবেশ করতে পারে না। সব সময় পুলিশ থাকেন।

মক্কায় প্রবেশমুখে গাড়ি, কাগজপত্র ও হজ ভিসা তল্লাশি করা হয়। এগুলো থাকলে প্রবেশের অনুমতি মেলে। তাই হজযাত্রীদেরও বাইরে বের হলে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সঙ্গে রাখতে হয়।

মসজিদুল হারামের (কাবা শরিফ) নিরাপত্তার জন্য এর ভেতরে ও বাইরে অসংখ্য ক্লোজড সার্কিট (সিসি) ক্যামেরা ও নিরাপত্তার যন্ত্রপাতি বসানো আছে। মুসল্লিদের নিরাপত্তার জন্য সাদাপোশাকে ও পোশাক পরা পুলিশ এবং গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন মসজিদের প্রবেশপথে এবং ভেতরে বিভিন্ন স্থানে দায়িত্ব পালন করেন। মসজিদের ভেতর চিকিৎসাসেবা কেন্দ্রে পর্যাপ্ত স্বাস্থ্যকর্মী ও বাইরে সার্বক্ষণিক অ্যাম্বুলেন্স থাকে।

হজযাত্রী সঙ্গীকে জানান হারালে কোথায় অপেক্ষা করবেন
হজ করতে এসে হঠাৎ হারিয়ে যেতে পারেন অনেকেই। সঙ্গীকেও হারিয়ে ফেলতে পারেন। তবে এ কারণে দুশ্চিন্তার কিছু নেই। এজেন্সি, দলনেতা ও সঙ্গীর মোবাইল নম্বর কাগজে লিখে নিজের সঙ্গে রাখুন। হারিয়ে গেলে তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করে অপেক্ষা করুন নির্দিষ্ট স্থানে। আর সঙ্গীকেও জানিয়ে রাখুন হারিয়ে গেলে কোথায় অপেক্ষা করতে হবে।

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, হজ করতে এসে মক্কায় হারিয়ে যাওয়ার ঘটনা নিয়মিত ঘটে। যদিও স্থানীয়, প্রবাসী, সৌদি কর্মী, মক্কার মিসফালা বাংলাদেশ হজ কার্যালয়ে হারানো হজযাত্রীদের পৌঁছে দেন। হজ কার্যালয়ের আইটি হেল্প ডেস্ক এজেন্সির মাধ্যমে হারিয়ে যাওয়া হজযাত্রীদের নিজেদের ঠিকানায় পৌঁছে দেন। এরপরও হঠাৎ করে হারিয়ে গেলে হজযাত্রীরা দিশেহারা হয়ে পড়েন। যশোর মনিরামপুর থেকে আগত হজযাত্রী পারভেজ হোসেন জানালেন, তাঁদের দলনেতা হোটেলের কার্ড, মোয়াল্লেমের দেওয়া পরিচয়পত্র ছাড়া বাইরে বের হতে নিষেধ করেছেন।

বেশ কয়েকবার হজ করেছেন, এমন হজযাত্রীদের কাছ থেকে জানা গেছে, সৌদি আরবে পৌঁছে মক্কায় নির্দিষ্ট বাড়িতে মালপত্র রেখে হজযাত্রীরা ওমরাহ পালন করতে বের হন। সে সময় কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগে তাওয়াফ, সাঈ করতে গিয়ে সঙ্গীদের হারিয়ে ফেলেন। মসজিদুল হারাম বিশাল এলাকাজুড়ে। মসজিদুল হারামে প্রবেশপথ প্রায় ১০০টি। তা ছাড়া মসজিদুল হারাম সম্প্রসারণের জন্য ভেতরে-বাইরে নির্মাণকাজ চলছে। প্রবেশপথগুলো দেখতে একই রকম হলেও নাম ও গেট নম্বর ভিন্ন। অচেনা জায়গা হওয়ায় খুব সহজেই হজযাত্রীরা সেখানে হারিয়ে যান। বিশেষ করে তাওয়াফ, সাঈ করতে গিয়ে হজযাত্রীরা বেশি হারান। তাই সঙ্গীকে আগেই বলে রাখুন, তাওয়াফ শেষ করে কোথায় নামাজ পড়বেন। আবার সাঈ করতে গিয়ে সাফা বা মারওয়া পাহাড়ে গিয়ে হারিয়ে গেলে কোথায় অপেক্ষা করতে হবে, সেটা সঙ্গীর সঙ্গে আলোচনা করে ঠিক করে রাখুন।

এ ছাড়া সব সময় আপনার সঙ্গীর মোবাইল নম্বর, এজেন্সির নাম ও মোবাইল নম্বর একটি কাগজে লিখে নিজের কাছে রাখুন, যাতে হারিয়ে গেলেও ফোন করে আপনি কোথায় অপেক্ষা করছেন, তা জানাতে পারেন।