২৬ লাখ ভারতীয় জাল রুপিসহ তিনজন গ্রেপ্তার

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা উত্তর বিভাগের একটি দল বিশেষ অভিযান চালিয়ে ভারতীয় জাল রুপি এবং জাল রুপি তৈরির সরঞ্জাম জব্দ করেছে। এ সময় মূল হোতাসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গতকাল বুধবার বিকেলে রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর মাতুয়াইল এলাকার একটি আবাসিক ভবন থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন লিয়াকত হোসেন ওরফে জাকির, শান্তা আক্তার ও মমতাজ বেগম। এ সময় তাঁদের হেফাজত থেকে ভারতীয় ২০০০ রুপির নোটের ২৬ লাখ জাল রুপি এবং জাল রুপি তৈরির কাজে ব্যবহৃত একটি ল্যাপটপ, একটি কালার প্রিন্টার, একটি লেমিনেটিং মেশিন, জাল রুপি তৈরির কাগজ, প্রিন্টারে ব্যবহৃত বিভিন্ন ধরনের কালির কার্টিজ, সিকিউরিটি সিলসংবলিত স্ক্রিনবোর্ড, গাম ও জাল রুপি বানানোর জন্য সিল মারা ফয়েল পেপার উদ্ধার করা হয়।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানান ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিবি) আবদুল বাতেন।

অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার বলেন, গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা কোরবানির ঈদে পোশাক ও গরু আমদানির কাজে বিভিন্ন ব্যবসায়ীর মাধ্যমে জাল রুপি পাচার করে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার উদ্দেশ্যে সক্রিয় হন। চক্রটির মূল হোতা লিয়াকত হোসেন ওরফে জাকির। তিনি বিভিন্ন স্থান থেকে জাল রুপি তৈরির প্রয়োজনীয় কাঁচামাল এবং জাল রুপি দেশের সীমান্তবর্তী জেলা চাঁপাইনবাবগঞ্জের আগ্রহী ব্যবসায়ীদের চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ করতেন। শান্তা আক্তার ও মমতাজ বেগম জাল রুপি তৈরির দক্ষ কারিগর। প্রায় ১০ বছর ধরে নোট জালিয়াতির সঙ্গে যুক্ত চক্রটি।

প্রথম দিকে চক্রটি বাংলাদেশি নোট জালিয়াতির সঙ্গে যুক্ত থাকলেও সম্প্রতি ভারতীয় রুপি জালিয়াতিতে যুক্ত হয়। গ্রেপ্তার এড়াতে বারবার বাসা পরিবর্তন করত তারা। কোনো বাসাতেই তিন মাসের বেশি থাকত না। তারা বাসা ভাড়া নেওয়ার ক্ষেত্রে বহুতল ভবনের ওপরের দিকের ফ্ল্যাটই বেছে নিত। সম্প্রতি শেষ হওয়া ডিএমপির উদ্যোগ ‘নাগরিক তথ্য সংগ্রহ সপ্তাহ’–তে পুলিশের সক্রিয় নজরদারি বাড়ার কারণে চক্রটি মাত্র তিন দিনের মাথায় একটি নতুন বাসা পরিবর্তন করতে বাধ্য হয়।

গ্রেপ্তার করা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ঢাকা মহানগরসহ দেশের বিভিন্ন থানায় জাল নোটসংক্রান্ত একাধিক মামলা রয়েছে। বিভিন্ন মেয়াদে সাজা ভোগ করে জামিনে বের হয়ে তাঁরা আবার নোট জালিয়াতির কাজে লিপ্ত হন।