ভাতিজিকে ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে চাচার মৃত্যুদণ্ড

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলায় আমেনা আক্তার (১৪) নামের এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যার মামলায় চাচা নুর মোহাম্মদকে (৩৯) মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাঁকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে পিরোজপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মিজানুর রহমান এ রায় ঘোষণা করেন।

আমেনা স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণিতে পড়ত।

মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণ ও আদালত সূত্রে জানা গেছে, নুর মোহাম্মদ একাধিক বিয়ে করলেও স্ত্রীরা সবাই তাঁকে ছেড়ে চলে যান। ২০১০ সালের ২১ মার্চ সকালে আমেনা আক্তার ছোট দুই ভাইয়ের সঙ্গে বাড়িতে ছিল। আমেনার মা গরু নিয়ে মাঠে যান। এ সময় চাচা নুর মোহাম্মদ আমেনাকে বাঁশ কাটার কথা বলে ঘর থেকে ডেকে বাড়ির পাশের বাগানে নিয়ে ধর্ষণ শেষে হত্যা করেন এবং লাশ পাশের খালে ফেলে দেন।

এ ঘটনায় নিহত আমেনা আক্তারের মা ফাতেমা বেগম বাদী হয়ে নুর মোহাম্মদের বিরুদ্ধে স্থানীয় থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। নুর মোহাম্মদ মঠবাড়িয়া জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিমের কাছে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। ওই বছরের ৩১ মে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মঠবাড়িয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রুহুল আমিন আসামি নুর মোহাম্মদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেন।

মামলায় ১০ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে বিচারক আসামি নুর মোহাম্মদের উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন। সরকার পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের সরকারি কৌঁসুলি (বিশেষ পিপি) আবদুর রাজ্জাক খান।

আসামি নুর মোহাম্মদের পক্ষে রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী ছিলেন (এস্টেট ডিফেন্স) কানাই লাল বিশ্বাস।