২৫ টাকার ওষুধ ৫০০ টাকায় বিক্রি, ৪০ হাজার টাকা জরিমানা

ওষুধটির সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য লেখা ছিল ২৫ টাকা। সেই ওষুধ বিক্রি করা হয়েছে ৫০০ টাকায়। ওষুধের গায়ের দামের সঙ্গে বিক্রয়মূল্যের এমন আকাশ-পাতাল পার্থক্য দেখে ক্রেতা জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরে অভিযোগ করেন। শুনানি শেষে বিক্রেতাকে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। আমানা নামে রাজশাহীর একটি বেসরকারি হাসপাতালের কর্তৃপক্ষকে আজ বৃহস্পতিবার এই জরিমানা করা হয়েছে।


ওষুধটির ক্রেতার নাম মাইনুল হক। তাঁর বাড়ি রাজশাহীর বাঘা উপজেলার পীরগাছা গ্রামে। মাইনুল জানান, তাঁর নানা মোহাম্মদ আলী সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে রাজশাহী নগরের লক্ষ্মীপুর ঝাউতলা এলাকার আমানা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। অস্ত্রোপচারের পর তাঁর নানাকে ওই হাসপাতালের ফার্মেসি থেকে যে ওষুধ দেওয়া হয় তার মধ্যে ‘এফিডিন’ নামের দুটি ইনজেকশন ছিল। ওই ওষুধের গায়ে সর্বোচ্চ মূল্য লেখা ছিল ২৫ টাকা। মাইনুল বলেন, তাঁর কাছে এই ওষুধ দুটির দাম নেওয়া হয়েছে ৫০০ টাকা করে মোট এক হাজার টাকা।

এ ব্যাপারে প্রথম আলোর পক্ষ থেকে গত ২৮ জুলাই আমানা হাসপাতালের নিচের ফার্মেসিতে কথা বলতে গেলে তাদের বিক্রয় প্রতিনিধিরা বলেন, এই ওষুধের সরবরাহ কম, পাওয়া যায় না। এই ওষুধ তারা এক হাজার টাকা দামেও বিক্রি করেছেন। এই ওষুধ তাদেরও বেশি দামে কিনতে হয়। এ জন্য ৫০০ টাকা করে দাম ধরা হয়েছে। তবে বিষয়টি ক্রেতাকে আগেই বলা উচিত ছিল। বলা হয়নি, এই যা।

কথা বলে কোনো সমাধান না হলে মাইনুল হক গত ২৯ জুলাই জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের রাজশাহী বিভাগীয় কার্যালয়ে এর প্রতিকার চেয়ে লিখিত অভিযোগ করেন। আজ বৃহস্পতিবার সকালে অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মারুফ আল হাসান এ অভিযোগের শুনানি করেন। শুনানির সময় ক্রেতা মাইনুল হক ও আমানা হাসপাতালের ব্যবস্থাপক উপস্থিত ছিলেন।

মারুফ আল হাসান প্রথম আলোকে বলেন, শুনানিতে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ভোক্তা অধিকার আইনের ২০০৯ সালের ৪০ ধারায় আমানা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। আমানা হাসপাতালের ব্যবস্থাপক তৎক্ষণাৎ জরিমানার টাকা পরিশোধ করেন। নিয়ম অনুযায়ী জরিমানার ২৫ শতাংশ অর্থাৎ ১০ হাজার টাকা ক্রেতাকে দেওয়া হয়েছে।