ঈদে ঢাকা-বরিশাল নৌপথে বিশেষ সেবা শুরু ৮ আগস্ট

ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

ঈদুল আজহা উপলক্ষে ৮ আগস্ট থেকে ঢাকা-বরিশাল নৌপথে সরকারি-বেসরকারি নৌযানগুলোর বিশেষ সেবা শুরু হচ্ছে। ২০ আগস্ট পর্যন্ত এই সেবা অব্যাহত থাকবে।

বেসরকারি লঞ্চ সূত্রগুলো বলছে, ঈদ উপলক্ষে ৮ আগস্ট থেকে ঢাকার সদরঘাট থেকে বরিশাল, বরগুনা, আমতলী, পটুয়াখালী, ভোলা, ঝালকাঠি ও পিরোজপুর নৌপথে বেসরকারি লঞ্চগুলো বিশেষ সেবা চালু করবে। ঈদের পর যাত্রীরা যেন নির্বিঘ্নে কর্মস্থলে ফিরতে পারেন, সে কারণে ২০ আগস্ট পর্যন্ত এই সেবা অব্যাহত থাকবে।

একই দিন থেকে বিশেষ স্টিমার সার্ভিস শুরু করবে রাষ্ট্রীয় নৌযান সংস্থা বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনও (বিআইডব্লিউটিসি)। সরকারি এ সংস্থাটির জাহাজ ও স্টিমারগুলো ঢাকা থেকে বরিশাল, ঝালকাঠি ও পিরোজপুরের হুলারহাট হয়ে বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ পর্যন্ত চলাচল করবে।

বিআইডব্লিউটিসি সূত্র জানিয়েছে, এমভি মধুমতি, এমভি বাঙালি, পিএস মাহসুদ, পিএস লেপচা ও পিএস টার্ন—এই পাঁচটি স্টিমার ঈদে বিশেষভাবে যাত্রী পরিবহনের কাজ করবে। ৮ আগস্ট থেকে প্রতিদিন একটি করে স্টিমার ঢাকা থেকে বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ পর্যন্ত চলাচল করবে। ১০ আগস্ট ঢাকা থেকে ছেড়ে যাবে পিএস মাহসুদ ও পিএস লেপচা স্টিমার দুটি। ১১ আগস্ট পিএস মাহসুদ মোরেলগঞ্জ পর্যন্ত ও পিএস লেপচা বড় মাছুয়া পর্যন্ত যাত্রী পরিবহন করবে। ঈদের পর ১৬ আগস্ট বরিশাল থেকে যাত্রী নিয়ে ঢাকায় রওনা হবে এমভি বাঙালি ও পিএস লেপচা।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) বরিশাল কার্যালয় সূত্র জানিয়েছে, ঈদ সামনে রেখে বরিশাল নৌবন্দরসহ দক্ষিণের জেলাগুলোর নদীবন্দর ও লঞ্চঘাটগুলোতে নানা প্রস্তুতি চলছে। বরিশাল নদীবন্দরকেন্দ্রিক সেবার মান নিশ্চিত করতে বিআইডব্লিউটিএর সব কর্মকর্তা-কর্মচারীর ছুটি বাতিল করা হয়েছে।

বরিশাল নদীবন্দর সূত্র জানিয়েছে, যাত্রীসেবার কথা মাথায় রেখে এবারও ২৫ জন মেরিন (ডিপিইটিসি) ক্যাডেট, ৩০ জন আনসার, ২০ জন স্কাউট সদস্য বরিশাল নদীবন্দরে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। এ ছাড়া নিরাপত্তার কাজে নৌ পুলিশ, নগর পুলিশ, কোস্টগার্ড ও র‍্যাব সদস্যরাও নৌবন্দরে সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করবেন। অসুস্থ রোগী এবং যেকোনো দুর্ঘটনা রোধ ও উদ্ধারকাজের জন্য ফায়ার সার্ভিসের সদস্য ও চিকিৎসক দল বন্দরে প্রস্তুত থাকবে। বন্দর এলাকা পরিচ্ছন্ন রাখার পাশাপাশি যাত্রীদের জন্য সুপেয় পানি, সার্বক্ষণিক বিদ্যুৎ ব্যবস্থা এবং শিশুদের মাতৃদুগ্ধ পান করানোর জন্য আলাদা কক্ষের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

বিআইডব্লিউটিএর বরিশাল আঞ্চলিক কার্যালয়ের নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের উপপরিচালক আজমল হুদা সরকার প্রথম আলোকে বলেন, ‘ঈদের আগে-পরের পুরো সময়ের জন্য বন্দরে ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। আশা করছি গত ঈদে যাত্রীরা যেভাবে নিরাপদে যাতায়াত করেছেন, এবারও তেমনটা করতে পারবেন। এরই মধ্যে সব লঞ্চের সার্ভে সনদ, মাস্টারদের সনদসহ যাবতীয় সব পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে। কোনো ত্রুটি পাওয়া গেলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কোনো লঞ্চ যেন অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহন করতে না পারে, সে জন্য সার্বক্ষণিক নজরদারি থাকবে।’

বিআইডব্লিউটিসির বরিশাল অঞ্চলের উপমহাব্যবস্থাপক সৈয়দ আবুল কালাম আজাদ প্রথম আলোকে বলেন, ঈদের বিশেষ সার্ভিস নিরাপদ ও নির্বিঘ্ন করতে সংস্থার পক্ষ থেকে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। এরই মধ্যে স্টিমারের সময়সীমা ঘোষণা করা হয়েছে।