জুতাবদল নিয়ে...

মুসল্লির জুতা পাল্টাপাল্টি নিয়ে সংঘর্ষে আহত এক নারী ও পুরুষ। পীরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, রংপুর, ২ আগস্ট। ছবি: সংগৃহীত
মুসল্লির জুতা পাল্টাপাল্টি নিয়ে সংঘর্ষে আহত এক নারী ও পুরুষ। পীরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, রংপুর, ২ আগস্ট। ছবি: সংগৃহীত

রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলায় জুতাবদলকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে নারীসহ ছয়জন আহত হয়েছেন। শুক্রবার টুকুরিয়া ইউনিয়নের তরফমৌজা গ্রামের জামে মসজিদে জুম্মার নামাজ শেষে এই ঘটনা ঘটে।

আহত ব্যক্তিরা হলেন তরফমৌজা গ্রামের বাসিন্দা গোলজার হোসেন (৪০), আল আমিন (৩২), দেলোয়ার হোসেন (৩৮), জুয়েল রানা (২২), নজমুল হোসেন (৬৫) ও আকতারা বানু (৩০)। তাঁদের পীরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

হাসপাতাল সূত্রে আহত ব্যক্তিদের নাম জানা গেছে। এঁদের মধ্যে গোলজার হোসেনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় সন্ধ্যায় তাঁকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শী মুসল্লিরা জানান, তরফমৌজা গ্রামের শফিকুল ইসলাম (৩৪) নামাজ শেষে মসজিদ থেকে বের হয়ে দেখেন বাইরে রাখা তাঁর জুতা নেই। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তিনি গালাগাল করেন। পরে জানা যায়, নজমুল হোসেন ভুল করে ওই জুতা নিয়ে গেছেন। এই গালাগালকে কেন্দ্র করে দুটি পক্ষ হয়ে যায়। তাঁরা প্রথমে হাতাহাতি পরে লাঠিসোঁটা নিয়ে সংঘর্ষের জড়িয়ে পড়েন।

শফিকুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘ জুতা না পেয়ে বকাঝকা করি। এ বিষয়টি অন্যরা রং-রূপ দিয়ে যিনি জুতা নিয়ে গেছেন, তাঁকে গিয়ে বলেছেন। এতে তিনি ফিরে এসে আমাকে মারপিট করেন।’

জুতো নিয়ে যাওয়া নজমুল হোসেন বলেন, ‘আমার জুতা আর ওই জুতা অনেকটা একই রকম। এ কারণে ভুল করে শফিকুলের জুতা নিয়ে গিয়েছিলাম। পরে ওই জুতা ফেরত দিতে গিয়ে শুনি তিনি অকথ্য ভাষায় মুসল্লিদের সামনে গালিগালাজ করেছেন। এর কারণ জানতে চাইলে ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে মারপিট করেছেন। আমি তাঁকে মারিনি।’

আহত দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘ঘটনাটি থামাতে গিয়ে আমি মার খেয়েছি।’

টুকুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আতাউর রহমান বলেন, ‘ওই ঘটনায় দুই পক্ষই থানায় মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। তবে আপাতত উভয় পক্ষকে শান্ত থাকার অনুরোধ করেছি। বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা চলছে।’

পীরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক বকুল মিয়া রাতে প্রথম আলোকে বলেন, ওই ঘটনায় আহত একজনের (গোলজার হোসেন) শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে। তাঁকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অন্য পাঁচজন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি আছেন। লাঠির আঘাতে তাঁদের শরীরের বিভিন্ন অংশ জখম হয়েছে।

পীরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সরেশ চন্দ্র জানান, ‘ঘটনাটি শুনেছি। অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’