ডেঙ্গুর প্রকোপ থেকে নগরবাসীকে সুরক্ষা দিতে পারব: ডিএমপি কমিশনার

রাজারবাগ পুলিশ লাইনসে ডিএমপির ডেঙ্গু প্রতিরোধী পরিষ্কার–পরিচ্ছন্নতা অভিযান। ছবি: সংগৃহীত
রাজারবাগ পুলিশ লাইনসে ডিএমপির ডেঙ্গু প্রতিরোধী পরিষ্কার–পরিচ্ছন্নতা অভিযান। ছবি: সংগৃহীত

এডিস মশা ও এর লার্ভা ধ্বংস করে ডেঙ্গুর প্রকোপ থেকে নগরবাসীকে সুরক্ষা দিতে পারবেন বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার (ডিএমপি) মো. আছাদুজ্জামান মিয়া। তিনি জানিয়েছেন, ঢাকা শহরে প্রায় ৫০ হাজার পুলিশ সদস্যকে এডিস মশার লার্ভা ধ্বংসে কাজ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আজ শনিবার রাজারবাগ পুলিশ লাইনসে ডেঙ্গু প্রতিরোধী পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান নিয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ের সময় এ কথা বলেন আছাদুজ্জামান মিয়া।

ডিএমপি কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, ‘এডিস মশা নিধন করে, মশার লার্ভাকে ধ্বংস করে এই ডেঙ্গুর প্রকোপ থেকে নগরবাসীকে আমরা সুরক্ষা দিতে সহায়তা করতে পারব। এ জন্য চাই সবার স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ।’

আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, ঢাকা শহরে প্রায় ৫০ হাজার পুলিশ সদস্য রয়েছেন, তাঁদের বলা হয়েছে তাঁরা সবাই যেন জাতির এই ‍দুর্দিনে সবার মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে সহায়তা করেন। তিনি ডেঙ্গু প্রতিরোধে মহানগরবাসীকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।

আছাদুজ্জামান মিয়া আরও বলেন, ‘আজ সকাল ৭টা থেকে ১০টা পর্যন্ত আমরা ডেঙ্গু প্রতিরোধের জন্য ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সব পুলিশ লাইনস, অফিস, যেমন ডিসি অফিস, থানা, ফাঁড়ি, কন্ট্রোল রুম, মেস, ডাইনিং ইত্যাদি স্থানে পরিষ্কার–পরিচ্ছন্নতা অভিযান করছি। এ অভিযানে ডিএমপির বিভিন্ন পর্যায়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমে অংশ নেন।’

ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘ডেঙ্গুর প্রকোপ শেষ না হওয়া পর্যন্ত আমাদের পরিচ্ছন্নতা অভিযান চলবে। তবে ঈদের আগেই যেন এটা নির্মূল করা যায়, সে চেষ্টা করা হবে। এডিস মশার লার্ভা ধ্বংসে পুলিশের সব ইউনিটকে একযোগে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম চলাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’

আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, ‘পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে ৬০ থেকে ৭০ লাখ মানুষ গ্রামে যাবে। এখনই যদি ঢাকার এডিস মশা নিধন করতে না পারি, তাহলে ডেঙ্গু গ্রামেগঞ্জে ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা আছে। আমরা শুধু ডিএমপির ইউনিটগুলো পরিষ্কার করছি তা নয়, ডিএমপির বিভিন্ন থানার ৩০২ বিটের পাড়া–মহল্লায় সচেতনতা কর্মসূচি গ্রহণের জন্য আমরা সংশ্লিষ্ট বিট কর্মকর্তা, অফিসার ইনচার্জ ও ডিসিদের নির্দেশ দিয়েছি। এ ছাড়া সিটি কাউন্সিলর ও কমিউনিটি পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে মহল্লাবাসীকে একত্র করে সবাইকে সচেতন করে যার যার এলাকায় স্বচ্ছ পানি জমা রয়েছে, যেখানে এডিস মশার প্রজনন হতে পারে, সেসব এলাকা পরিষ্কার করে ওষুধ ছিটানোর জন্য বলা হয়েছে। আমরা যদি পুরো শহরকে এভাবে পরিষ্কার–পরিচ্ছন্ন করি, তাহলে ডেঙ্গু প্রতিরোধ করা আমাদের জন্য সহজ হবে।’

ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘শুধু সরকার বা স্বাস্থ্য বিভাগ এই ডেঙ্গু প্রতিরোধ করতে পারবে না। এই ডেঙ্গু প্রতিরোধে নগরবাসী ও জনগণকে এগিয়ে আসতে হবে। যার যার আঙিনা তাকেই পরিষ্কার করতে হবে। এটা আমাদের নাগরিক দায়িত্ব। ডেঙ্গু শুধু আমাদের দেশেই নয়, অন্যান্য দেশেও ছড়িয়ে পড়েছে।’