চটপটি বিক্রেতা বেলালের সততা

আবদুর রশিদের হাতে হারানো টাকা তুলে দেওয়া হয়। চটপটি বিক্রেতা বেলাল হোসেন (উভয় দিক থেকে ৫ নম্বর)। ছবি: সংগৃহীত
আবদুর রশিদের হাতে হারানো টাকা তুলে দেওয়া হয়। চটপটি বিক্রেতা বেলাল হোসেন (উভয় দিক থেকে ৫ নম্বর)। ছবি: সংগৃহীত

সততার এক অনন্য নজির স্থাপন করলেন ঝিনাইদহের কালিগঞ্জ উপজেলার চটপটি বিক্রেতা বেলাল হোসেন। চলতি পথে কুড়িয়ে পাওয়া ৬৩ হাজার ৫০০ টাকা তুলে দিলেন সত্যিকার মালিকের হাতে। তাঁর এই সততার কারণে বেঁচে গেল কাঠ ব্যবসায়ীর ক্ষুদ্র ব্যবসা।

স্থানীয় চেয়ারম্যান ও বেলাল হোসেনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার চটপটি বিক্রি করে রাতে বাড়ি ফিরছিলেন বেলাল হোসেন। পথে কোলা বাজারে মন্দিরের কাছে রাস্তার ওপর একটি ব্যাগে টাকার বান্ডিল পান। রাতেই তিনি উপস্থিত হন স্থানীয় চেয়ারম্যানের বাড়িতে। পরদিন শুক্রবার চেয়ারম্যান আইয়ূব হোসেন এলাকায় প্রচার চালিয়ে টাকার মালিককে খুঁজে বের করেন। পরে ওই টাকা তাঁর হাতে তুলে দেওয়া হয়।

বেলাল হোসেন কালীগঞ্জ উপজেলার কোলা গ্রামের নুরুল হক মোল্যার ছেলে। আর হারানো টাকার মালিক একই উপজেলার পারখুলা গ্রামের ক্ষুদ্র কাঠ ব্যবসায়ী আবদুর রশিদ।

বেলাল হোসেন বলেন, ‘আমি নিজে একজন অভাবী মানুষ। বাবা মায়ের অভাবের সংসারে ছোট থেকে বড় হয়েছি। সব সময় সৎ উপায়ে সংসার চালাই। কখনো কারও অর্থের প্রতি লোভ করিনি। প্রকৃত মালিকের হাতে টাকাটা ফেরত দিতে পেরে আমি খুবই খুশি।’

টাকা ফিরে পেয়ে আবদুর রশিদ বলেন, ‘আমি নিজেও গরিব মানুষ। ধারদেনা করে কাঠের ব্যবসা করি। হারানো টাকাটা ফেরত পেয়ে মানুষ সম্পর্কে আমার ধারণা পাল্টে গেছে। বেলাল হোসেন ও চেয়ারম্যানকে মিষ্টিমুখ করাতে চেয়েছি। কিন্তু তাঁরা রাজি হননি।’

কোলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আইয়ূব হোসেন বলেন, অভাব মানুষকে নষ্ট করতে পারে না বেলাল তার উৎকৃষ্ট উদাহরণ।