পাখির মাংসের রেস্তোরাঁ খুলেছিলেন তিনি, তারপর...

চার বছর ধরে পাখির মাংস বিক্রি করতেন তিনি। নিজেকে আড়াল করার জন্য গ্রামের মধ্যে রেস্তোরাঁ বসান। তবে শেষরক্ষা হয়নি। ভ্রাম্যমাণ আদালত তাঁকে এক বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন।

পাখির মাংসের রেস্তোরাঁর ওই মালিকের নাম হাফিজুল ইসলাম। তিনি নাটোর সদর উপজেলার হালসা ইউনিয়নের অর্জনপুর গ্রামের বাসিন্দা। নিজ গ্রামেই ওই রেস্তোরাঁর ব্যবসা চালাতেন হাফিজুল। শনিবার সন্ধ্যায় জেলা প্রশাসনের নির্বাহী হাকিম শামসুল আরেফীন তাঁকে ওই সাজা দেন।

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, হাফিজুল নিভৃত গ্রামে রেস্তোরাঁ খুলে চার বছর ধরে রাতচরা, বক, শালিক, ঘুঘু, চড়ুই, ডাহুক, শামুক খোলসহ যখন যে পাখি পেতেন, সেটাই ধরে রান্না করে বিক্রি করে আসছিলেন। রসনাবিলাসীরা এ খবর জানতেন বলে হাফিজুলের ব্যবসা বেশ রমরমা ছিল। নানা রকম পাখির মাংসের স্বাদ নিতে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন জায়গা থেকে মানুষ আসত ওই রেস্তোরাঁয়। দেরিতে হলেও বিষয়টি জেলা প্রশাসকের নজরে আসে। এরপর শনিবার দুপুরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী হাকিম শামসুল আরেফীনের নেতৃত্বে অভিযান চালানো হয় ওই রেস্তোরাঁয়। সেখানে অভিযান চালিয়ে দুটি বালিহাঁস, চারটি বক, ৫০টি চড়ুইসহ বেশ কয়েক প্রজাতির পাখির রান্না করা মাংস জব্দ করা হয়। পরে তা একটি পুকুরে ফেলে দেওয়া হয়। এরপর বন্য প্রাণী সংরক্ষণ আইনে হাফিজুল ইসলামকে দণ্ড দেওয়া হয়।

রায়ের বিষয়টি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন জেলা প্রশাসক মো. শাহরিয়াজ। তিনি বলেন, সমাজের যেকোনো জায়গায় এ ধরনের অপরাধের খোঁজ পেলে তিনি অপরাধীকে দ্রুত আইনের আওতায় আনতে বদ্ধপরিকর। এ জন্য সবার সহযোগিতা চান।