ডিএনসিসির মশার ওষুধ কেনার তথ্য সংগ্রহ করেছে দুদক

দুদক
দুদক

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মশা নিধনের জন্য চার বছরের ওষুধ কেনার তথ্য সংগ্রহ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ রোববার ডিএনসিসি কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে এসব তথ্য সংগ্রহ করা হয়।

দুদকের উপপরিচালক প্রণব কুমার ভট্টাচার্য প্রথম আলোকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, মশার ওষুধ আমদানি ও ব্যবহারে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ পেয়ে অভিযান পরিচালিত হয়।

দুদকের হটলাইনে (১০৬) অভিযোগ আসে, সিটি করপোরেশনের একটি সংঘবদ্ধ চক্র মশার মারার ওষুধ আমদানিতে সিন্ডিকেট করে এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে অকার্যকর ওষুধ আমদানি করেছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে সংস্থার সহকারী পরিচালক মো. রাশেদুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি এনফোর্সমেন্ট দল এ অভিযান পরিচালনা করে। সরেজমিন অভিযানে দুদক জেনেছে, বিগত বছরগুলোতে রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট শুধু কিউলেক্স মশা নিধনের পরীক্ষা করেছে। ওই পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে ওষুধ আমদানি করেছে ডিএনসিসি। দুদকের দলটি এ সময় ২০১৯-২০ অর্থবছরে মশা মারার ওষুধ কেনার জন্য এডিস মশার ওপর পরীক্ষা করার জন্য পরামর্শ দিয়েছে।

এদিকে ক্রয় প্রক্রিয়া অনুসন্ধানে দুদকের দলটি দেখতে পায়, গত চার বছর ধরে দ্য লিমিট অ্যাগ্রো প্রোডাক্টস লিমিটেড নামের একটি প্রতিষ্ঠান থেকেই এককভাবে কীটনাশক সরবরাহ করা হয়েছিল। এ বছরের জানুয়ারিতে নিকোন লিমিটেড নামের একটি প্রতিষ্ঠানকে ওষুধ সরবরাহের কার্যাদেশ দেওয়া হয়। দুদকের দলটি ২০১৫ সাল থেকে ২০১৯ সালের কার্যাদেশসংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য সংগ্রহ করেছে। এ ক্রয় প্রক্রিয়ায় কোনো দুর্নীতি হয়েছে কি না, তা বিশ্লেষণ করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য কমিশনে প্রতিবেদন উপস্থাপন করবে দলটি।