চট্টগ্রামে জরিমানার প্রতিবাদে ৬৮ রুটে আকস্মিক বাস ধর্মঘট

ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

জরিমানার প্রতিবাদে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা-বেনাপোলসহ ৬৮টি রুটে বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। রোববার সন্ধ্যা ছয়টা থেকে আন্তজেলা বাস মালিক সমিতি ও পূর্বাঞ্চলীয় সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন যৌথভাবে এই কর্মসূচি শুরু করেছে। এর ফলে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে যাত্রীদের।

অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়ার অভিযোগে বিভিন্ন বাসকে জরিমানা করার প্রতিবাদে এই কর্মসূচি আহ্বান করা হয়। পূর্বাঞ্চলীয় সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি মৃণাল চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, ৬৮টি রুটে বাস-চেয়ার কোচসহ সব ধরনের যাত্রীবাহী পরিবহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। স্বতঃস্ফূর্তভাবে বন্ধ করে দিয়েছেন পরিবহন শ্রমিকেরা।

মৃণাল চৌধুরী বলেন, এখন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট গণহারে জরিমানা করা শুরু করে দিয়েছেন। গত দুই দিনে চারটি গাড়িকে ৫৬ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। তাঁদের দাবি, বেশি ভাড়া নিচ্ছে। কিন্তু এটি সঠিক নয়। এতে সাধারণ পরিবহন মালিক-শ্রমিকেরা ক্ষুব্ধ হয়ে সন্ধ্যা থেকে বাস চলাচল বন্ধ রেখেছেন।

একজন পরিবহন শ্রমিকনেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রথম আলোকে বলেন, সামনে কোরবানির ঈদ। প্রতিদিন এভাবে জরিমানা দিয়ে তো গাড়ি চালানোর যুক্তি নেই। সেই জন্য সন্ধ্যা ৬টা থেকে মালিকপক্ষের সিদ্ধান্তে সব বাস চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। শ্রমিকেরা এই ধর্মঘটকে স্বাগত জানিয়েছেন। রাত ৮টা থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে ধর্মঘট আহ্বান করা হয়েছে।

চট্টগ্রামের গ্রিন লাইন বাস সার্ভিসের কর্তব্যরত কর্মকর্তা মো. পারভেজ বলেন, বিকেল ৫টার পর থেকে আর কোনো গাড়ি যায়নি। রাতে যাবে কি না, এখনো বলা যাচ্ছে না।

চট্টগ্রাম জেলা পরিবহন মালিক গ্রুপের সভাপতি মনজুর আলম প্রথম আলোকে বলেন, ‘ধর্মঘট আহ্বানের বিষয়টি সত্য। আমরা হয়রানির শিকার হচ্ছি।’

এদিকে রোববার রাতে প্রশাসনের সঙ্গে বাসমালিক ও শ্রমিকনেতাদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।