বাড্ডার নাসির হত্যায় গ্রেপ্তার আসামি তিন দিনের রিমান্ডে

রাজধানী বাড্ডার নাসির উদ্দিন (৩৫) হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার এক আসামিকে তিন দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দিয়েছেন আদালত। পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত রোববার এই আদেশ দেন।

আসামির নাম আরিফ মিয়া (২৫)। তিনি গাজীপুরের কাপাশিয়া উপজেলার রতন মিয়ার ছেলে।

মেরুল বাড্ডার আনন্দনগর ঝিলপাড় এলাকায় শনিবার রাত নয়টার দিকে নাসির উদ্দিনকে ছুরিকাঘাত করা হয়। পরে তাঁকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

এ ঘটনায় নাসিরের স্ত্রী সালমা বেগম বাদী হয়ে বাড্ডা থানায় আরিফসহ কয়েকজনের নামে হত্যা মামলা করেন।

মামলায় সালমা বেগম বলেন, পূর্বশত্রুতার জেরে শনিবার রাতে তাঁর স্বামীর সঙ্গে কথা-কাটাকাটি হচ্ছিল আরিফের। একপর্যায়ে নাসির উদ্দিনকে ধারালো চাকু দিয়ে আঘাত করেন আসামি আরিফ। তখন স্থানীয় লোকজন চিৎকার দিলে ঘটনাস্থলে টহল পুলিশের সদস্যরা এগিয়ে আসে। ওই দলের মধ্যে এক কনস্টেবল নজরুল ইসলাম আসামি আরিফকে জাপটে ধরেন। তখন আরিফ নজরুলের বাম হাতে কামড় দেন। এরপর বাড্ডা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবদুর রহমান ঘটনাস্থল থেকে চাকুসহ আরিফকে গ্রেপ্তার করেন।

মামলায় সালমা বেগম আরও বলেন, তাঁর স্বামীর সঙ্গে রুবেল (২২), আসলাম (২৫), ইউসুফ, আলমগীর (২০), মিলন (২২), আশিক (২২) ও ইমনের (২০) শত্রুতা ছিল।

নাসির উদ্দিনের স্ত্রী সালমা বেগম প্রথম আলোকে বলেন, কী কারণে তাঁর স্বামীকে হত্যা করা হয়েছে তা তিনি জানেন না। তবে তাঁর স্বামীকে রোজার ঈদের আগেও একবার মারধর করে মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়েছিল।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বাড্ডা থানার এসআই আবদুর রহমান রোববার আদালতকে প্রতিবেদন দিয়ে বলেছেন, আরিফ মিয়া নাসির উদ্দিনকে হত্যা করেছেন। পূর্বশত্রুতার জেরে আসামিরা নাসির উদ্দিনকে হত্যা করেছেন।

আসামি আরিফকে আদালতে হাজির করে ১০ দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের আবেদন করে বাড্ডা থানা-পুলিশ। শুনানি নিয়ে আদালত আরিফের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

বাড্ডা থানার এসআই আবদুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, নাসির উদ্দিন ও আসামি আরিফ উভয়ই মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। তবে আসামিকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার পর হত্যাকাণ্ডের মূল রহস্য বেরিয়ে আসবে।