মসজিদে ডায়াবেটিস কর্নার প্রতিষ্ঠা ও ডায়াবেটিস সচেতনতা সৃষ্টির উদ্যোগ

বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতি আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন। ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতি আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন। ছবি: সংগৃহীত

ডায়াবেটিস সম্পর্কে গণসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতি (বাডাস) ‘ধর্মীয় নেতাদের মাধ্যমে ডায়াবেটিস প্রতিরোধ’ বিষয়ে একটি বিশেষ প্রকল্প গ্রহণ করেছে। প্রকল্পের অংশ হিসেবে বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতি (বাডাস) সারা দেশে মসজিদে ডায়াবেটিস কর্নার প্রতিষ্ঠা ও ইমামদের মাধ্যমে ডায়াবেটিস-সেবাসহ সচেতনতা সৃষ্টির উদ্যোগ নিয়েছে। ধর্ম মন্ত্রণালয়, ইসলামিক ফাউন্ডেশন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নন-কমিউনিকেবল ডিজিজ কন্ট্রোল প্রোগ্রাম এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় মসজিদের ইমামদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার কার্যক্রম ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে। ইসলামি চিন্তাবিদ ও আলেম-ওলামাদের মাধ্যমে পবিত্র কোরআন ও হাদিসের আলোকে ডায়াবেটিস প্রতিরোধ বিষয়ে একটি খুতবাও তৈরি করা হয়েছে। ইমামদের মাধ্যমে ডায়াবেটিস পরীক্ষাসহ বেশ কিছু সেবা দেওয়ার পরিকল্পনাও করা হয়েছে।

রোববার বেলা সাড়ে ১১টায় বাডাস কনফারেন্স রুমে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়। এতে বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক এ কে আজাদ খান, মহাসচিব মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক এএইএচএম এনায়েত হোসেন ও প্রকল্পের কো-অর্ডিনেটর ডা. বিশ্বজিৎ ভৌমিক ছাড়াও বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, সারা বিশ্বেই ডায়াবেটিস মহামারি আকার ধারণ করেছে। বিশ্বজুড়ে বর্তমানে ডায়াবেটিক রোগীর সংখ্যা প্রায় ৪২ কোটি। এ সংখ্যা ২০৪০ সালে ৬৪ কোটিতে পৌঁছাবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। উন্নত দেশগুলোর তুলনায় বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলোতে এ রোগের বৃদ্ধির হার অনেক বেশি। বাংলাদেশে বর্তমানে ডায়াবেটিক রোগীর সংখ্যা প্রায় ৭৫ লাখ। ২০৪০ সাল নাগাদ এ সংখ্যা দেড় কোটি ছাড়িয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এ অবস্থায় ডায়াবেটিস সম্পর্কে গণসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতি ‘ধর্মীয় নেতাদের মাধ্যমে ডায়াবেটিস প্রতিরোধ’ বিষয়ে একটি বিশেষ প্রকল্প গ্রহণ করেছে।