ময়মনসিংহে ডিবির সঙ্গে পৃথক 'বন্দুকযুদ্ধে' নিহত ২

বন্দুকযুদ্ধ। ছবিটি প্রতীকী
বন্দুকযুদ্ধ। ছবিটি প্রতীকী

ময়মনসিংহে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সঙ্গে পৃথক ‘বন্দুকযুদ্ধে’ দুজন নিহত হয়েছেন। নিহত ব্যক্তিদের একজন মাদক ব্যবসায়ী এবং অপরজন ধর্ষণ মামলার আসামি বলে জানিয়েছে ডিবি পুলিশ।


গতকাল রোববার রাতে ময়মনসিংহ সদর উপজেলার শম্ভুগঞ্জ ও ফুলবাড়িয়া উপজেলার কালাদহে পৃথক দুটি ‘বন্দুকযুদ্ধের’ ঘটনা ঘটে।

ময়মনসিংহ সদর উপজেলার শম্ভুগঞ্জ এলাকায় নিহত ব্যক্তির নাম জনি মিয়া (২৬) এবং ফুলবাড়িয়ায় নিহত ব্যক্তির নাম জহিরুল ইসলাম (২০)।

ডিবি পুলিশ জানায়, গতকাল মধ্যরাতে ডিবি পুলিশ নিয়মিত টহল দিচ্ছিল শম্ভুগঞ্জ এলাকায়। শম্ভুগঞ্জ বাজারের কাছাকাছি চরপুলিয়ামারী গ্রামে কয়েকজন ব্যক্তি মাদক কেনাবেচা করছে—গোপন সূত্রে এই খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে যায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে মাদক ব্যবসায়ীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। ‍পুলিশও আত্মরক্ষায় পাল্টা গুলি করে। ডিবি পুলিশ মোট ১৪টি গুলি করার পর মাদক ব্যবসায়ীরা পালিয়ে যায়। ওই সময় ঘটনাস্থলে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পড়ে ছিলেন জনি। পরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক জনিকে মৃত ঘোষণা করেন। জনির বাড়ি ময়মনসিংহ শহরতলির শম্ভুগঞ্জ এলাকায়।

ডিবি আরও জানায়, গতকাল দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে ডিবি পুলিশের আরেকটি দল ফুলবাড়িয়া উপজেলার কালাদহ এলাকায় অভিযান চালায় গণধর্ষণ মামলার আসামি জহিরুল ইসলামকে গ্রেপ্তারের জন্য। কালাদহ ঈদগাহ মাঠ এলাকায় গণধর্ষণ মামলার আসামিরা পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে গুলি করতে শুরু করে। পুলিশও পাল্টা গুলি করলে একপর্যায়ে আসামিরা পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থলে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় জহিরুলকে পাওয়া যায়। পরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক জহিরুলকে মৃত ঘোষণা করেন। জহিরুলের বাড়ি ফুলবাড়িয়া উপজেলার কৈয়েরচালা গ্রামে।

ময়মনসিংহ জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ কামাল আকন্দ ‘বন্দুকযুদ্ধের’ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, দুটি ‘বন্দুকযুদ্ধের’ স্থান থেকে অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।