খুলনায় গণহত্যায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেল মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে হস্তান্তর

মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে রাজাকারদের ব্যবহৃত মোটরসাইকেল ‘গণহত্যা-নির্যাতন আর্কাইভ ও জাদুঘরে’ হস্তান্তর করা হচ্ছে। খুলনা, ৫ আগস্ট। ছবি: প্রথম আলো
মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে রাজাকারদের ব্যবহৃত মোটরসাইকেল ‘গণহত্যা-নির্যাতন আর্কাইভ ও জাদুঘরে’ হস্তান্তর করা হচ্ছে। খুলনা, ৫ আগস্ট। ছবি: প্রথম আলো

মুক্তিযুদ্ধের সময় রাজাকার বাহিনীর ব্যবহৃত একটি মোটরসাইকেল ‘গণহত্যা-নির্যাতন আর্কাইভ ও জাদুঘরে’ হস্তান্তর করা হয়েছে। খুলনা নগরের সোনাডাঙ্গা আবাসিক এলাকা দ্বিতীয় ফেইজের ৬ নম্বর সড়কের ৪২৪ নম্বর বাড়িতে জাদুঘরের অস্থায়ী কার্যালয়ে সোমবার সকালে ওই হস্তান্তর অনুষ্ঠান হয়।

মুক্তিযুদ্ধে নিহত যশোরের মনিরামপুর উপজেলার অনীল কুমার ঘোষের দুই ছেলে গণহত্যা-নির্যাতনের স্মৃতিচিহ্নস্বরূপ এই মোটরসাইকেলটি জাদুঘরে দান করেন।

১৯৭১: গণহত্যা-নির্যাতন আর্কাইভ ও জাদুঘর ট্রাস্টের পরিচালক (প্রশাসন) চৌধুরী শহীদ কাদের বলেন, মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর দোসর রাজাকার বাহিনী যশোরের মনিরামপুর উপজেলার গিরিন্দ্রনাথ ঘোষের বাড়িটি দখল করে রাজাকার ক্যাম্প ও নির্যাতন কেন্দ্র স্থাপন করে। এই কেন্দ্র থেকেই মনিরামপুর এলাকায় রাজাকার বাহিনী গণহত্যা চালায়। সেই দখল করা বাড়িতে থাকা গিরিন্দ্রনাথ ঘোষের ছেলে অনীল কুমার ঘোষের ব্যবহৃত একটি মোটরসাইকেল রাজাকার বাহিনী ব্যবহার করত। মনিরামপুর ও আশপাশের এলাকায় গণহত্যা পরিচালনা ও সাধারণ মানুষকে তুলে নেওয়ার কাজে রাজাকার বাহিনী এই মোটরসাইকেলটি ব্যবহার করত।

চৌধুরী শহীদ কাদের বলেন, অনীল কুমার ঘোষের দুই ছেলে বিপ্লব কুমার ঘোষ ও দেবাশীষ কুমার ঘোষ গণহত্যা-নির্যাতনের স্মৃতিচিহ্নস্বরূপ এই মোটরসাইকেলটি গণহত্যা জাদুঘরে দান করেছেন।

মোটরসাইকেল হস্তান্তর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন গণহত্যা জাদুঘর ট্রাস্টের সভাপতি অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন, ট্রাস্টি চৌধুরী শহিদ কাদের, অনীল কুমার ঘোষের দুই ছেলে বিপ্লব কুমার ঘোষ ও দেবাশীষ কুমার ঘোষ।

চৌধুরী শহীদ কাদের বলেন, এই জাদুঘরটি দক্ষিণ এশিয়ার একমাত্র গণহত্যা ও নির্যাতনবিষয়ক জাদুঘর। এই জাদুঘরে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে পাকিস্তানি বাহিনী কর্তৃক পরিচালিত গণহত্যায় বহু দুর্লভ নিদর্শন, ছবি ও ডকুমেন্ট সংরক্ষিত আছে।