এলেঙ্গায় রাস্তা মেরামত তবু যানজটের আশঙ্কা

টাঙ্গাইল
টাঙ্গাইল

ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে কালিহাতী উপজেলার এলেঙ্গায় রাস্তার খানাখন্দ মেরামত করা হচ্ছে। তারপরও এখানে থেকে যাচ্ছে যানজটের শঙ্কা। চার লেনের মহাসড়ক শেষ হয়ে এই স্থান থেকে শুরু হয়েছে দুই লেন। তাই অতিরিক্ত যানবাহনের চাপে এলেঙ্গাতেই যানজটের আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। তবে পুলিশ বিভাগ এই স্থানে বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে বলে জানিয়েছে।

ঢাকা থেকে উত্তরবঙ্গগামী যানবাহন জয়দেবপুর বা চন্দ্রা হয়ে টাঙ্গাইলের ওপর দিয়ে বঙ্গবন্ধু সেতু অতিক্রম করে। জয়দেবপুর থেকে কালিহাতীর এলেঙ্গা পর্যন্ত চার লেনের কাজ সম্পূর্ণ শেষ হয়নি। কয়েকটি আন্ডারপাস, উড়ালসেতু এবং ধীরগতির যানবাহন চলাচলের জন্য রাস্তা নির্মাণের কাজ বাকি রয়েছে। তবে মহাসড়কটির জয়দেবপুর থেকে এলেঙ্গা পর্যন্ত মূল চাল লেনের সুবিধা পুরোপুরি পাওয়া যাচ্ছে।

সরেজমিনে মির্জাপুর থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু পর্যন্ত ঘুরে এ চিত্র পাওয়া যায়। কিন্তু সমস্যা দেখা যাচ্ছে এলেঙ্গায়। এলেঙ্গা বাসস্ট্যান্ডের আগেই শেষ হয়েছে চাল লেন প্রকল্প। তারপর থেকে বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্ব প্রান্তের সংযোগ সড়ক পর্যন্ত ৩৩০ মিটার রাস্তার অবস্থা খুবই খারাপ। গতকাল সোমবার দুপুরে দেখা যায়, রাস্তার খানাখন্দ মেরামত করা হচ্ছে। তারপরও এই জায়গা নিয়েই দুশ্চিন্তা সবার। চার লেনের সুবিধায় দ্রুতগতিতে যানবাহন ঢাকা থেকে গাজীপুরের জয়দেবপুর বা চন্দ্রা হয়ে এলেঙ্গা পর্যন্ত আসতে পারবে। কিন্তু এই অংশে এসে দুই লেনের রাস্তায় ঢুকতেই ধীরগতির সৃষ্টি হতে পারে বলে মনে করছেন পুলিশ ও পরিবহনসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। আর এতে যানজট লেগে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

ঈদে বঙ্গবন্ধু সেতু হয়ে যানবাহন চলাচল দ্বিগুণের বেশি হয়। স্বাভাবিক অবস্থায় যেখানে ১১-১২ হাজার যানবাহন সেতু পারাপার হয়, ঈদের আগে দু-এক দিন এ সংখ্যা ৩০ হাজার ছাড়িয়ে যায়। তাই এলেঙ্গায় চার লেন থেকে দুই লেনের সড়কে ঢুকতে গিয়ে অতিরিক্ত যানবাহনের চাপে যানজটের আশঙ্কা রয়েই যাচ্ছে।

টাঙ্গাইলের ট্রাফিক পরিদর্শক (টিআই) রফিকুল ইসলাম সরকার বলেন, তিনি এই মহাসড়কের টাঙ্গাইল জেলার অংশে একমাত্র এলেঙ্গা ছাড়া কোথাও যানজট হওয়ার আশঙ্কা দেখছেন না। গত ঈদুল ফিতরের সময় সিরাজগঞ্জ অংশের যানজট সেতু অতিক্রম করে টাঙ্গাইল অংশে ৩০ কিলোমিটার ছাড়িয়েছিল। সেতুর পশ্চিম প্রান্তে নলকা সেতু এই যানজটের অন্যতম কারণ ছিল।

চার লেন প্রকল্পের ব্যবস্থাপক অমিত কুমার চক্রবর্তী বলেন, তাঁদের প্রকল্পের কাজের কারণে যানজটের কোনো আশঙ্কা নেই। এই প্রকল্পের পুরো রাস্তায়ই যানবাহন চার লেনের সুবিধা পাবে। এলেঙ্গায় চার লেন প্রকল্পের বাইরে ৩৩০ মিটার রাস্তা মেরামতের জন্য তাঁদের প্রকল্পের তিন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে মালামাল সরবরাহ করা হয়েছে। তা দিয়ে সড়ক বিভাগ ওই অংশটুকু মেরামত করছে। 

টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শফিকুল ইসলাম জানান, এলেঙ্গা অংশে যাতে যানজট না হয়, সে জন্য সেখানে বিশেষ পুলিশি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। রাস্তার পাশে কোথাও গরুর হাট বসছে না। এ ছাড়া বঙ্গবন্ধু সেতুতে টোল লেন আরও একটি বাড়ানো হয়েছে। সাত শতাধিক পুলিশ সদস্য যানজট নিরসনে ৮ আগস্ট থেকে মাঠে থাকবেন। তাই সেতুর পশ্চিম প্রান্তে (সিরাজগঞ্জ অংশে) গাড়ি টানতে পারলে টাঙ্গাইল অংশে যানজট হবে না বলে তিনি আশা করছেন।