মশা ঠেকাতে ঢাকায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিশেষজ্ঞ

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার জ্যেষ্ঠ কীটতত্ত্ববিদ ভুপেন্দর নাগপাল বলেছেন, নির্মাণাধীন ভবনে বা স্থাপনায় কার্যকর মশা নিধন অভিযান চালালে এডিস মশা ৪০ শতাংশ কমে যাবে। এডিস মশা ধ্বংসের সবচেয়ে কার্যকর পন্থা হচ্ছে উৎসস্থল ধ্বংস করা।

গতকাল সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে আয়োজিত সংবাদ ব্রিফিংয়ে ভুপেন্দর নাগপাল এ কথা বলেন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখা এই সংবাদ ব্রিফিংয়ের আয়োজন করে। চলমান ডেঙ্গু পরিস্থিতি মোকাবিলায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে কারিগরি সহায়তা দিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আঞ্চলিক কার্যালয় দিল্লি থেকে ভুপেন্দর নাগপালকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। 

মশা বিশেষ করে এডিস মশার চরিত্র, জীবনচক্র, ক্ষতি করার সক্ষমতা এবং এই মশা নিধনের উপায় নিয়ে কথা বলেন ভুপেন্দর নাগপাল। তিনি বলেন, ডেঙ্গু প্রতিরোধে কার্যকর পন্থা হচ্ছে নাগরিকের অংশগ্রহণের মাধ্যমে এডিস মশা নিধন করা। এডিস মশা ঘরের কোনায়, অন্ধকার আর্দ্র জায়গায়, যেমন পর্দার পেছনে, খাট, চেয়ার বা টেবিলের নিচে থাকতে পছন্দ করে। 

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এই বিশেষজ্ঞ বলেন, বিশ্বব্যাপী ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়ছে। তবে ব্যবস্থাপনায় উন্নতি হওয়ায় ডেঙ্গুতে মৃত্যু কমছে। কোথায় কোথায় এডিস মশা কোন পরিবেশে জন্ম নিতে পারে, তার বর্ণনা দিয়ে ভুপেন্দর নাগপাল বলেন, পুলিশ নিয়মিত গাড়ি জব্দ করে। এসব গাড়িতে পানি জমে, তাতে এডিস মশা জন্ম নেয়। হর্টিকালচার এডিসের বংশবিস্তারে সহায়তা করে। একটি বাড়ির প্রায় ২০টি স্থান এডিস মশা তার বংশবিস্তারের জন্য বেছে নেয়। মানুষ যদি তার বাড়ি মশামুক্ত রাখার জন্য সপ্তাহে এক ঘণ্টা ব্যয় করে, তবে নগর ডেঙ্গুমুক্ত করা সম্ভব।

অনুষ্ঠানে লেখক-গবেষক সৈয়দ আবুল মকসুদ, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ, রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক অধ্যাপক সানিয়া তাহমিনা উপস্থিত ছিলেন।