কিশোরীকে ধর্ষণের দায়ে তিনজনের যাবজ্জীবন

প্রতীকী ছবি। এএফপি
প্রতীকী ছবি। এএফপি

বরগুনায় তৈরি পোশাক কারখানার এক কর্মীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণের দায়ে তিনজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। গতকাল সোমবার বিকেলে বরগুনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. হাফিজুর রহমান এ রায় ঘোষণা করেন।

আসামিরা হলেন বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার মানিকখালী গ্রামের হাসিব, তাঁর সহযোগী একই গ্রামের ইদ্রিস আলী ও হায়দার আলী। রায় ঘোষণার সময় আসামি হাসিব ও ইদ্রিস আদালতে উপস্থিত ছিলেন। অপর আসামি হায়দার পলাতক। আসামিদের মধ্যে দণ্ডপ্রাপ্ত হাসিবকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং তাঁর সহযোগী আসামি ইদ্রিস ও হায়দারকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে।

আদালত সূত্রে জানা যায়, আসামি হাসিবের সঙ্গে তৈরি পোশাক কর্মীর (১৭) মুঠোফোনের মাধ্যমে পরিচয় হয়। এরপর হাসিব তাকে বিয়ের প্রস্তাব দেন। একই সঙ্গে আসামি ইদ্রিস ও হায়দারও মেয়েটিকে নিশ্চিত করে হায়দার তাকে বিয়ে করবে। আসামিদের আশ্বাসে ওই কিশোরী হাসিবের বাড়িতে যায়।

২০০৭ সালের ১০ জুলাই রাত ১১টায় আসামি হাসিবের সঙ্গে মেয়েটির বিয়ের আয়োজন করা হয়। ওই রাতে ইদ্রিস ও হায়দার ওই কিশোরীকে ঘরের বাইরে আসতে বলে। তাদের কথামতো মেয়েটি বাইরে গেলে ইদ্রিস ও হায়দারের সহযোগিতায় হাসিব ঘরের পেছনে নিয়ে তাকে ধর্ষণ করেন। অন্য দুই আসামি ইদ্রিস ও হায়দার পাহারা দেয়। এ ঘটনায় ওই কিশোরী বাদী হয়ে ২০০৭ সালের ১৫ জুলাই নারী ও শিশু ট্রাইব্যুনালে মামলা করে। আদালত মামলাটি তদন্তের জন্য পাথরঘাটা থানার পুলিশকে দায়িত্ব দেয়। পুলিশ তদন্ত করে দণ্ডপ্রাপ্ত তিনজনের বিরুদ্ধে ২০০৭ সালের ২৮ নভেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে।

রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন নারী ও শিশু ট্রাইব্যুনালের বিশেষ সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল। আসামিপক্ষে ছিলেন কামরুল আহসান।