হোলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলার আলামত আদালতে

গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলায় নিহত ব্যক্তিদের মোবাইলসহ বিভিন্ন প্রকারের আলামত আদালতে হাজির করা হয়েছে। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে আজ মঙ্গলবার মামলার এসব গুরুত্বপূর্ণ আলামত আদালতে উপস্থাপন করা হয়। একই সঙ্গে ঘটনাস্থল থেকে আলামত জব্দকারী দু’জন পুলিশ কর্মকর্তাসহ তিনজনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে।

ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মজিবুর রহমান তাদের জবানবন্দি রেকর্ড করেন। আগামী ২০ আগস্ট মামলার পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য করেছেন আদালত।

আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন পুলিশ পরিদর্শক হুমায়ুন কবির, উপপরিদর্শক (এসআই) জয়নুল আবেদীন এবং পুলিশ কনস্টেবল আশরাফুল আলম। এই তিনজনের সাক্ষ্যগ্রহণের মধ্য দিয়ে ৮৭ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে।

পুলিশ কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির আদালতকে বলেন, ২০১৬ সালের ২ জুলাই গুলশানের হোলি আর্টিজান বেকারি (ঘটনাস্থল) থেকে মোবাইলসহ ২৫ ধরনের আলামত তিনি জব্দ করেন। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে আলামতগুলো আদালতের কাছে তখন উপস্থাপন করা হয়। আদালত তা সবই দেখেন।

আরেক পুলিশ কর্মকর্তার জয়নুল আবেদীন আদালতকে বলেন, গুলশানের হোলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলায় যারা নিহত হয়েছিলেন, তাদের মোবাইল, ঘড়িসহ বিভিন্ন আলামত তিনি সেদিন জব্দ করেন। এই পুলিশ কর্মকর্তার জব্দ করা আলামতগুলো আদালতের সামনে উপস্থাপন করা হয়। ঘটনাস্থল থেকে জব্দ করা মোবাইল, ঘড়ি, ভ্যানিটি ব্যাগ, পাসপোর্ট, বিদেশি মুদ্রাসহ বিভিন্ন প্রকার আলামত আদালত নিজে দেখেন।

মামলার আসামি শরিফুল ইসলাম তিনজন সাক্ষীকে জেরা করেন। রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করছেন সরকারি কৌঁসুলি জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। ২০১৬ সালের ১ জুলাই রাতে হোলি আর্টিজানে জঙ্গিরা হামলা চালায়। তারা অস্ত্রের মুখে দেশি-বিদেশি অতিথিদের জিম্মি করে। ওই রাতে অভিযান চালাতে গিয়ে পুলিশের দুই কর্মকর্তা নিহত হন। পরদিন সকালে সেনা কমান্ডোদের অভিযানে পাঁচ জঙ্গিসহ ছয়জন নিহত হয়। পরে পুলিশ ১৮ বিদেশিসহ ২০ জনের মরদেহ উদ্ধার করে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান একজন রেস্তোরাঁকর্মী। হামলার আড়াই বছরের মাথায় অভিযোগপত্র জমা হয়।

এ মামলায় গ্রেপ্তার আসামি রাশেদ ওরফে র‍্যাশ, রাকিবুল ইসলাম ওরফে রিগ্যান, জাহাঙ্গীর আলম ওরফে রাজীব গান্ধী, মিজানুর রহমান ওরফে বড় মিজান, হাদিসুর রহমান ওরফে সাগর, আবদুস সবুর খান ওরফে সোহেল মাহফুজ ওরফে হাতকাটা মাহফুজ, শরিফুল ইসলাম খালেদ ও মামুনুর রশিদ রিপন কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়।