চাঁদাবাজ ঠেকাতে '৯৯৯'-এ ফোন, গ্রেপ্তার ৫

সিলেটের কোরবানির বাজারে বিক্রির জন্য নিয়ে যাওয়ার সময় সোমবার একটি গরুবাহী ট্রাক মহাসড়কে আটকে এক ব্যবসায়ীর কাছে চাঁদা দাবি করেছিলেন পাঁচ ব্যক্তি। ওই ব্যবসায়ী কৌশলে জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ‘৯৯৯’-এ ফোন দিয়ে সহযোগিতা চান। পরে পুলিশের এসে ওই পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে। ঘটনাস্থল থেকে জব্দ করা হয়েছে দুটি মোটরসাইকেল।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন সিলেট নগরের মাছিমপুর এলাকার বাসিন্দা আবুল কালাম দিপু (৩৮), গোলাপগঞ্জ আমরু কদমরসূল গ্রামের বাসিন্দা সৈয়দ তাফরিদ চৌধুরী মাহির (২১), সিলেট নগরের নওয়াগাঁও সাদিপুরের শাকিল আলম খান (২১), দক্ষিণ সুরমার মোগলাবাজারের শিলাম মাইঝপাড়া গ্রামের শামছুল ইসলাম রুমন (২৫) ও দক্ষিণ সুরমা বলদী এলাকার মেহের হাসান (২১)।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আরিফ শেখ নামের এক ব্যবসায়ী একটি ট্রাকে করে ১৮টি গরু নিয়ে মাগুরা থেকে সিলেটের কাজীরবাজারের উদ্দেশে রওনা দেন। সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে গরুবাহী ট্রাকটি সিলেটের ওসমানীনগর শেরপুর টোলপ্লাজা এলাকায় পৌঁছালে দুই মোটরসাইকেলের পাঁচ আরোহী সেটা থামানোর সংকেত দেন। এ সময় চালক ট্রাকের গতি বাড়িয়ে দেন। এই ফাঁকে ব্যবসায়ী আরিফ শেখ জাতীয় জরুরি সেবা ‘৯৯৯’-এ ফোন করে চাঁদাবাজির অভিযোগ দেন। একপর্যায়ে ওসমানীনগর থানা এলাকার মোটরসাইকেলের আরোহীরা ট্রাকটির পথ আটকে দাঁড়ান। এ সময় আরিফের কাছে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন ওই পাঁচ ব্যক্তি। সংকেত দেওয়া সত্ত্বেও ট্রাক না থামানোর জন্য তাঁরা ব্যবসায়ীকে ধমকাতে থাকেন। হুমকি দেন, চাঁদা না দিলে ট্রাকসহ গরু ছিনিয়ে নেওয়া হবে। তবে হঠাৎ পুলিশ এসে তাদের ঘিরে ধরে।

সিলেটের ওসমানীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম আল মামুন প্রথম আলোকে বলেন, জরুরি সেবার নম্বর থেকে পুলিশ জানতে পরে একটি গরুর ট্রাক আটকে চাঁদা দাবি করা হচ্ছে। খবর পেয়েই তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে পাঁচজনকে আটক করা হয়। পরে ওই ব্যবসায়ী আটক পাঁচজনের নামে একটি মামলা করেন। ওই মামলায় তাঁদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

ওসি মামুন বলেন, আজ মঙ্গলবার গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মধ্যে ওসমানীনগর এলাকার কেউ নেই। গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের সঙ্গে কোনো হাটের সংশ্লিষ্টতা আছে কি না, সেই বিষয়েও খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে।