পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ

অন্তর চন্দ্র দাস হত্যার বিচার চেয়ে গতকাল দুপুরে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধনে বক্তব্য দেন মা শেফালি রানী দাস।  ছবি: প্রথম আলো
অন্তর চন্দ্র দাস হত্যার বিচার চেয়ে গতকাল দুপুরে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধনে বক্তব্য দেন মা শেফালি রানী দাস। ছবি: প্রথম আলো

কাভার্ড ভ্যানের সহযোগী অন্তর চন্দ্র দাস (১৫) হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবদুল করিমের বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে হত্যার বিচারের দাবিতে আয়োজিত মানববন্ধন থেকে নিহত অন্তরের পরিবার এই অভিযোগ করে।

নিহত অন্তরের মা শেফালী রানী দাস, মামা খোকন চন্দ্র দাস, খালা লিপি রানীসহ পরিবারের লোকজন ও এলাকাবাসী মানববন্ধনে অংশ নেন। জোরপূর্বক আপসনামায় স্বাক্ষর নেওয়ার চেষ্টা ও ঘুষ দিয়ে মামলার অগ্রগতি রোধের অভিযোগে মোজাদ্দেক ট্রান্সপোর্ট এজেন্সি কর্মকর্তা মোখলেছুর রহমান ও তাঁর সহযোগী শাহ আলমের গ্রেপ্তার দাবি করা হয় মানববন্ধন থেকে।

মামলার বাদীপক্ষকে পুলিশ সহযোগিতা করছে না অভিযোগ করে অন্তরের মামা খোকন চন্দ্র দাস বলেন, অন্তরের হত্যাকারী কাভার্ড ভ্যানচালক ওমর আলীর ইয়াবা ব্যবসা সম্পর্কে জেনে যাওয়ায় অন্তরকে হত্যা করা হয়েছে। হত্যার পর থেকে ওমরের প্রতিষ্ঠান মোজাদ্দেক ট্রান্সপোর্টের কর্মকর্তা মোখলেছুর রহমান ও তাঁর সহযোগী শাহ আলম বিষয়টির আপস–মীমাংসার জন্য হুমকি দিচ্ছেন। অভিযোগপত্রে তথ্য গোপনের জন্য মোখলেছুর রহমান ও শাহ আলমের কাছ থেকে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আবদুল করিম ২০ হাজার টাকা ঘুষ নিয়েছেন বলেও তিনি অভিযোগ করেন। মানববন্ধন থেকে পুলিশের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ আনেন নিহত অন্তরের মা মামলার বাদী শেফালী রানী দাস।

অভিযোগ অস্বীকার করে ফতুল্লা থানার এসআই আবদুল করিম প্রথম আলোকে বলেন, ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ মিথ্যা। বাদীপক্ষকে হুমকি দেওয়ার বিষয়টি জানা নেই। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

গত ৯ জুলাই ফতুল্লার ফিরোজ ফিলিং স্টেশনে মারধরের শিকার কিশোর অন্তর ১৩ জুলাই নারায়ণগঞ্জ জেনারেল (ভিক্টোরিয়া) হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করে। অন্তর কাভার্ড ভ্যানচালক ওমর আলীর সহযোগী হিসেবে কাজ করত।