প্রধানমন্ত্রী সত্য কথা বলেননি: মির্জা ফখরুল

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ফাইল ছবি
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ফাইল ছবি

হেফাজতে নির্যাতন প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্যের সমালোচনা করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, হেফাজতে মৃত্যুর বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী অস্বীকার করেছেন। তিনি সত্য কথা বলেননি। রাজধানীর নয়াপল্টনে আজ বুধবার বিকেলে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন মির্জা ফখরুল।

লন্ডনে গতকাল মঙ্গলবার বিবিসি বাংলাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হেফাজতে নির্যাতন ও অমানবিক কায়দায় অত্যাচারের অভিযোগ নাকচ করে দেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এক শ্রেণির মানুষ হেফাজতে মৃত্যুর বিষয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে। এরা সেই মানুষ, যারা সারাক্ষণ খুঁটিনাটি বিষয় নিয়ে সরকারের পেছনে লেগেই আছে।’

প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্য প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, এটি তাঁর কাছে পরিষ্কার যে, প্রধানমন্ত্রী সত্য কথা বলেননি। বিভিন্ন গণমাধ্যমে মানবাধিকার সংগঠনগুলোর প্রকাশিত প্রতিবেদন তাঁরা দেখেছেন বলে জানান। মির্জা ফখরুল বলেন, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল, হিউম্যান রাইটস ওয়াচের প্রতিবেদনে দেখা গেছে, প্রতিবছর দেশে জুডিশিয়াল কাস্টডিতে ৪০০ থেকে ৭০০ লোক মারা যাচ্ছে। তিনি আরও বলেন, হেফাজতে নির্যাতনের খবর ও ছবি গণমাধ্যমে এসেছে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী তা অস্বীকার করলেন, যা সত্যের অপলাপ।

বাংলাদেশে নির্যাতন সরকারিভাবেই চলছে, অভিযোগ করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, সরকারের বিরুদ্ধে যারা ভিন্নমত পোষণ করে, তাদের ওপর অত্যাচার-নির্যাতন আরও বেশি করে চালানো হয়েছে। এ সময় নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের সময় গ্রেপ্তার হওয়া আলোকচিত্রী শহিদুল আলমের উদাহরণও টানেন মির্জা ফখরুল।

গণমাধ্যমে ডেঙ্গুর খবর অনেক বেশি প্রকাশিত হওয়ায় মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে—প্রধানমন্ত্রীর এমন বক্তব্যের ব্যাপারে বিএনপির মহাসচিব বলেন, তাঁরা বাস্তব সত্য স্বীকার করতে চান না। গণমাধ্যমে না এলে ডেঙ্গুর বিষয় চেপে যাওয়া হতো। ডেঙ্গুকে বিএনপি আপৎকালীন সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করে জরুরি ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছে।

মির্জা ফখরুল বলেন, যত জাতীয় সমস্যা এসেছে, কোনো সমস্যায় আওয়ামী লীগ অন্যান্য দলকে সম্পৃক্ত করেনি। আওয়ামী লীগ ‘একলা চলো’ নীতিতে বিশ্বাস করে। সেই কারণে তাদের বড় ধরনের ভুল হতে থাকে।

বিএনপির মহাসচিব জানান, বন্যা ও ডেঙ্গু পরিস্থিতির কারণে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে বিভাগীয় সমাবেশ আপাতত স্থগিত করা হয়েছে। ঈদের পর এই কর্মসূচি আবার শুরু করবে বিএনপি।