স্বামীকে বশ করতে গিয়ে...

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

এক নারী তাঁর স্বামীকে বশ করতে তাবিজ-কবচ ব্যবহার শুরু করেন। এ জন্য তিনি যে ব্যক্তির দ্বারস্থ হন, পরে সেই ব্যক্তির বিরুদ্ধে ধর্ষণ এবং টাকা-গয়না হাতিয়ে নেওয়ার মামলা করেন ওই নারী। পুলিশ অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে। আদালত তাঁর দুদিনের রিমান্ডও মঞ্জুর করেন।

গ্রেপ্তার ব্যক্তির নাম হায়দার। রাজধানীর উত্তরা এলাকায় ওই ঘটনা ঘটে। গত সোমবার উত্তরা পশ্চিম থানায় হায়দারের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করেন ওই নারী। এরপর মঙ্গলবার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত তাঁকে দুই দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উত্তরা পশ্চিম থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মুনজুর আলম বুধবার প্রথম আলোকে বলেন, হায়দার এখন উত্তরা পশ্চিম থানা হেফাজতে আছেন। তাঁর জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়েছে।

উত্তরা পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তপন চন্দ্র সাহা প্রথম আলোকে বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে হায়দার স্বীকার করেছেন, প্রতারণার মাধ্যমে ওই নারীকে তিনি ধর্ষণ করেন। ভুক্তভোগী ওই নারীর এক বোনকেও ধর্ষণ করার কথা স্বীকার করেছেন আসামি হায়দার। ভয় দেখিয়ে ওই নারীর কাছ থেকে টাকা-পয়সা ও সোনা নিয়েছেন।

এই পুলিশ কর্মকর্তা আদালতকে প্রতিবেদন দিয়ে বলেন, আসামি হায়দার গত ৪ আগস্ট ওই নারীকে ধর্ষণ করেন। জিজ্ঞাসাবাদে হায়দার স্বীকার করেন, প্রতারণার মাধ্যমে বিভিন্ন নারীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তুলে টাকা-পয়সা হাতিয়ে নিয়ে আসছিলেন।

পুলিশের সঙ্গে কথা বলে এবং মামলার এজাহারের তথ্য অনুযায়ী, স্বামীর সঙ্গে এই নারী বসবাস করেন রাজধানীর উত্তরায়। আসামি হায়দার ও ওই নারীর গ্রামের বাড়ি একই স্থানে। গ্রামের এক ব্যক্তির অনুরোধে ওই নারীর স্বামী হায়দারকে দুই বছর আগে ঢাকার একটি পোশাক কারখানায় চাকরির ব্যবস্থা করেন। স্বামীর পরিচয়ের সূত্র ধরে হায়দার উত্তরায় ওই দম্পতির বাসায় যাতায়াত করতেন। একপর্যায়ে ওই নারীর সঙ্গে সখ্য গড়ে তোলেন। ওই নারীর কাছে তাঁর স্বামীর সম্পর্কে নানা নেতিবাচক তথ্য (অন্য নারীর সঙ্গে সম্পর্ক আছে) তুলে ধরতে থাকেন। যাচাই-বাছাই না করে একপর্যায়ে হায়দারের সব কথা বিশ্বাস করতে থাকেন ওই নারী। এরপর স্বামী ও তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকজনের সঙ্গে খারাপ আচরণ করতে শুরু করেন ওই নারী।

এজাহারের তথ্য অনুযায়ী, ওই নারীকে জিনের ভয় দেখান হায়দার। তাঁর (হায়দার) কথা মতো ওই নারী তাঁর স্বামীকে নানা কিছু খাওয়ান। একপর্যায়ে ওই নারী তাঁর স্বামীকে বাসা থেকে বের করে দেন। পরে একদিন হায়দার ওই নারীকে কিছু একটা খাইয়ে অচেতন করে ধর্ষণ করেন। সর্বশেষ হায়দার গত ৪ আগস্ট উত্তরার বাসায় ওই নারীকে ধর্ষণ করেন। নানা ভয় দেখিয়ে বিভিন্ন সময় ওই নারীর কাছ থেকে হায়দার চার লাখ টাকা নেন। টাকার পাশাপাশি হায়দার ওই নারীর কাছ থেকে ছয় ভরি সোনাও নেন বলে অভিযোগে বলা হয়।