কিশোরী যাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ, লেগুনাচালক আটক

বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলায় দুই লেগুনাচালকসহ তিনজনের বিরুদ্ধে এক কিশোরী যাত্রীকে (১৫) ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় এক চালককে পুলিশে সোপর্দ করেছেন স্থানীয় লোকজন।

আটক লেগুনাচালকের নাম আবদুর রাজ্জাক (৩২)। তিনি উপজেলার ইলুহার ইউনিয়নের মলুহার গ্রামের বাসিন্দা। ওই কিশোরীর বাড়ি পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলায়।

বানারীপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. খলিলুর রহমান আজ বিকেলে প্রথম আলোকে বলেন, আটক রাজ্জাক প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছেন। কিশোরীর অভিভাবকদের খবর দেওয়া হয়েছে। তাঁরা পৌঁছালে এই ঘটনায় থানায় মামলা হবে। এ ঘটনায় আরেক লেগুনাচালক মাসুম ও তাঁর সহযোগীকে আটকের চেষ্টা চলছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ওই কিশোরী বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলায় তার খালার বাড়ি থেকে গতকাল বিকেলে নিজ বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেয়। সন্ধ্যায় পয়সারহাট থেকে যাত্রীবাহী ট্রলারে করে সে বিশারকান্দি পৌঁছানোর পর তার টাকা শেষ হয়ে যায়। পরে সে বিশারকান্দি লেগুনা স্ট্যান্ডে গিয়ে লেগুনাচালক রাজ্জাকের কাছে ভাড়া না থাকার বিষয়টি জানায়। সব শুনে রাজ্জাক তাকে (কিশোরী) বিনা ভাড়ায় বৈঠাঘাটা তালুকদার উলা খেয়াঘাটে পৌঁছে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। কিন্তু গন্তব্যে না নামিয়ে রাজ্জাক ওই কিশোরীকে ইলুহার ইউনিয়নের জনতা বাজারসংলগ্ন তাঁর (রাজ্জাক) এক চাচাতো ভাইয়ের বাড়িতে নিয়ে ধর্ষণ করেন। ওই কিশোরীর বরাত দিয়ে স্থানীয় লোকজন জানান, পরে গতকাল রাত ১০টার দিকে জনতা বাজার থেকে অপর এক লেগুনাচালক মাসুমের গাড়িতে ওই কিশোরীকে তুলে দেন রাজ্জাক। মাসুম ওই কিশোরীকে বইঠাঘাটা তালুকদার উলা খেয়াঘাটে না নামিয়ে বিশারকান্দি লেগুনা স্ট্যান্ডের একটি কক্ষে নিয়ে যান। সেখানে ওই কিশোরীকে সারা রাত আটকে রেখে মাসুম তাঁর এক সহযোগীসহ ধর্ষণ করেন। এরপর আজ ভোরে মাসুম কিশোরীকে তাঁর লেগুনায় করে বইঠাঘাটা তালুকদার উলা খেয়াঘাটে পৌঁছে দেন।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ওই কিশোরীকে খেয়াঘাটে কান্নাকাটি করতে দেখে স্থানীয় লোকজন তার কাছ থেকে বিষয়টি জানতে পারে। এর কিছুক্ষণ পরেই রাজ্জাক যাত্রী নিয়ে ওই খেয়াঘাটে এলে কিশোরী তাঁকে চিনে ফেলে এবং উপস্থিত লোকজনকে দেখিয়ে দেয়। উপস্থিত লোকজন তাৎক্ষণিক রাজ্জাককে আটক করে। এরপর বিষয়টি বানারীপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) জানানো হয়। তিনি বানারীপাড়ার লবণ সাড়া পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের উপপরিদর্শক সুজিত কুমার বিশ্বাসকে ঘটনাস্থলে পাঠান। এরপর সেখান থেকে পুলিশ আটক রাজ্জাক ও ওই কিশোরীকে বানারীপাড়া থানায় নিয়ে যান।