টাইগার আইটির বক্তব্য

গত ৩১ জুলাই প্রথম আলোয় প্রকাশিত ‘দুর্নীতির অভিযোগে কালো তালিকায় টাইগার আইটি’ খবরটি সম্পর্কে ব্যাখ্যা দিয়েছ টাইগার আইটি। তারা বলেছে, টাইগার আইটির বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে, তা বিশ্বব্যাংকের একান্ত অভ্যন্তরীণ বিষয়, যার কোনো আইনি ভিত্তি নেই। বিশ্বব্যাংক অস্পষ্ট, অনির্দিষ্ট ও অনিশ্চিত তথ্যের ওপর ভিত্তি করে এবং সন্দেহের বশবর্তী হয়ে মনগড়া প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।

টাইগার আইটি বলেছে, বিশ্বব্যাংক নিজস্ব খেয়ালখুশিমতো অসত্য তথ্যের ওপর নির্ভর করে কোনো দালিলিক প্রমাণ ছাড়া যেকোনো প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার উদ্দেশ্যে তাদের অর্থায়ন করা সরকারি প্রকল্প নিষিদ্ধ করার ক্ষমতা রাখে। তাদের মামলা পরিচালনার প্রতিটি ধাপেই বিচারের নামে প্রহসন হয়, যেখানে বিচারের মৌলিক অধিকারগুলো লঙ্ঘিত হয়। তাদের এমন অনেক সিদ্ধান্ত উন্নত দেশের বিচারিক আদালতে বাতিল হয়েছে। তা সত্ত্বেও তারা বিচারের নামে মনগড়া দৃষ্টান্ত স্থাপন করে যাচ্ছে।

পুরো মামলাটি আইডিইএমআইএ (ওবারথুর, যা আগে টাইগার আইটির সহযোগী ছিল) নামের একটি প্রতিষ্ঠানের সাক্ষীর বক্তব্যের ওপর ভিত্তি করে সাজানো হয়েছে, যাদের সঙ্গে টাইগার আইটি ও নির্বাচন কমিশনের বিরোধ রয়েছে।

টাইগার আইটি বলেছে, আইডিইএমআইএ ছাড়া বাংলাদেশি কোনো কোম্পানি যাতে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নের প্রকল্পে অংশ নিতে না পারে, সে জন্য টাইগার আইটির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে বিশ্বব্যাংক। জাতির বৃহত্তর স্বার্থে টাইগার আইটি জাতীয় পরিচয়পত্রের মহামূল্যবান তথ্য বিশ্বব্যাংকের কাছে তুলে দেয়নি। এ কারণেই টাইগার আইটির বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে।

আইডিইএমআইএ স্মার্ট কার্ড প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যর্থ হয়েছে। বিশ্বব্যাংক এ বিষয়টিকে গুরুত্ব না দিয়ে টাইগার আইটির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। আইডিইএমআইএ ও বিশ্বব্যাংকের আইনজীবীরা দেশের বিরুদ্ধে মিথ্যা বিবৃতি দেওয়ার জন্য এবং ভোটার তথ্যভান্ডারের তথ্য প্রকাশের সুযোগ পাওয়ার জন্য টাইগার আইটিকে চাপ প্রয়োগ করেছিল।

দরপত্রে প্রভাব বিস্তারের অভিযোগও সঠিক নয়। কারণ, বিশ্বব্যাংকের অনুমোদন ছাড়া দরপত্রের শর্তাবলি চূড়ান্ত করা অসম্ভব। বিশ্বব্যাংকের আরও একটি অভিযোগ হলো, টাইগার আইটি আইডিইএমআইএকে দরপত্রের শর্তাবলি সংশোধনে সহায়তা করেছিল। এই অভিযোগ অযৌক্তিক। কারণ, এই প্রকল্পে আইডিইএমআইএকে সফটওয়্যার ও জনবল সরবরাহ করা ছাড়া টাইগার আইটির আর কোনো সম্পৃক্ততা ছিল না। বিশ্বব্যাংক আইডিইএমআইএকেও নিষিদ্ধ করেছে। কিন্তু আইনের ফাঁক গলে বিভিন্ন প্রকল্পে তাদের কাজ করার সুযোগ করে দিয়েছে।

টাইগার আইটি বলেছে, বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে অসৎ উপায়ে লেনদেনের কোনো অভিযোগের কথা বলা হয়নি। অথচ প্রথম আলো অসৎ উপায়ে লেনদেনের কথা বলেছে। প্রথম আলো আরও লিখেছে, টাইগার আইটি বিশ্বব্যাংকের তদন্তকাজকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করেছে, যা সত্য নয়।

প্রতিবেদকের বক্তব্য

টাইগার আইটির বক্তব্যে প্রতিষ্ঠানটিকে কালো তালিকাভুক্ত করার বিষয়ে বিশ্বব্যাংকের সিদ্ধান্তের সমালোচনা করা হয়েছে। প্রথম আলোর কাছে এসব সমালোচনার জবাব নেই।