কনডম ব্যবহারে কমবে এইচআইভি সংক্রমণ

গোলটেবিল বৈঠকে বক্তব্য দেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক এ এইচ এম এনায়েত হোসেন। পাশে সোশ্যাল মার্কেটিং কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আলী রেজা খান। গতকাল কারওয়ান বাজারে প্রথম আলো কার্যালয়ে।  ছবি: প্রথম আলো
গোলটেবিল বৈঠকে বক্তব্য দেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক এ এইচ এম এনায়েত হোসেন। পাশে সোশ্যাল মার্কেটিং কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আলী রেজা খান। গতকাল কারওয়ান বাজারে প্রথম আলো কার্যালয়ে। ছবি: প্রথম আলো

নিরাপদ যৌন অভ্যাস গড়ে তুলতে কনডম সবচেয়ে বেশি কার্যকর। কনডম ব্যবহারে এইচআইভি প্রতিরোধের পাশাপাশি অনাকাঙ্ক্ষিত গর্ভধারণ রোধ হবে। তবে এ জন্য সঠিক নিয়মে ও ধারাবাহিকভাবে কনডম ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।

গতকাল বুধবার সকালে প্রথম আলো কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত ‘এইচআইভি-এইডস এবং অনাকাঙ্ক্ষিত গর্ভধারণ রোধে সামাজিক সচেতনতা ও করণীয়’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে আলোচকেরা এসব কথা বলেন। সোশ্যাল মার্কেটিং কোম্পানি (এসএমসি) ও ইউএসএআইডির সহযোগিতায় এ বৈঠকের আয়োজন করে প্রথম আলো

বৈঠকে আলোচকেরা বলেন, ১৯৮৯ সালে দেশে প্রথম এইডস রোগী শনাক্ত হয়। ২০১৮ সালের অক্টোবর পর্যন্ত ৬ হাজার ৪৫৫ জন এইচআইভি সংক্রমিত ব্যক্তি শনাক্ত হয়েছে। এতে মারা গেছে ১ হাজার ২২ জন। অনিরাপদ যৌন মিলন, অনিরাপদ রক্ত সঞ্চালন, এইচআইভি সংক্রমিত ব্যক্তির ব্যবহৃত সুই, সিরিঞ্জ ব্যবহারের মাধ্যমেই মূলত এ রোগ ছড়ায়।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক এ এইচ এম এনায়েত হোসেন বলেন, ৯০-৯০-৯০ লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে ২০২০ সালের মধ্যে ৯০ শতাংশ সম্ভাব্য এইচআইভি আক্রান্ত শনাক্ত করা, তাদের চিকিৎসাসেবার আওতায় নিয়ে আসা ও চিকিৎসাধীনদের ৯০ শতাংশের ভাইরাসের মাত্রা নিয়ন্ত্রিত রাখতে হবে। কিন্তু দোরগোড়ায় সেবার সুবিধা থাকার পরও আক্রান্তরা আসছে না। এ জন্য সামাজিক সচেতনতা খুব জরুরি।

আলোচকেরা আরও বলেন, বাংলাদেশ এখনো এইচআইভি সংক্রমণের দিক থেকে কম ঝুঁকিপূর্ণ দেশ। তবে জনগোষ্ঠীর অবস্থান, ভৌগোলিক অবস্থান, অভিবাসন ও অসচেতনতার কারণে এইচআইভি সংক্রমিত ব্যক্তির সংখ্যা বাড়ছে। কেবল ২০১৮ সালেই ৮৬৯ জন আক্রান্ত হয়েছে, যার মধ্যে ১৮৮ জন রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী।

এসএমসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আলী রেজা খান বলেন, স্বামী বা জীবনসঙ্গীর মাধ্যমেই বেশির ভাগ নারী আক্রান্ত হচ্ছে। অথচ কনডমের ব্যবহারের মাধ্যমে সহজেই এইচআইভি প্রতিরোধ করা যায়।

অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন প্রথম আলোর সহযোগী সম্পাদক আব্দুল কাইয়ুম।