পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়া নেওয়া আসামি 'বন্দুকযুদ্ধে' নিহত

বন্দুকযুদ্ধ। প্রতীকী ছবি
বন্দুকযুদ্ধ। প্রতীকী ছবি

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় পুলিশের পিকআপ থেকে হাতকড়াসহ ছিনিয়ে নেওয়া আসামি চিনু মিয়া (৩৮) আজ শুক্রবার ভোরে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। তিনি ১৮ মামলার আসামি ও জিনের বাদশা প্রতারক চক্রের মূল হোতা বলেও পুলিশ জানায়।

ভোররাত পৌনে চারটার দিকে উপজেলার কাটাখালী বাঁধের সাপগাছি হাতিয়াদহ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। চিনু মিয়ার বাড়ি উপজেলার দরবস্ত ইউনিয়নের বিশ্বনাথ গ্রামে। তাঁর বিরুদ্ধে হত্যা চেষ্টা, অস্ত্র আইন, প্রতারণা, চাঁদাবাজি, অপহরণ, অগ্নিসংযোগ ও নাশকতাসহ ১৮টি মামলা আদালতে বিচারাধীন।

পুলিশ গত বুধবার রাত ১০টার দিকে বিশ্বনাথ গ্রাম থেকে চিনুকে আটক করে হাতকড়া লাগিয়ে পিকআপে উঠিয়ে গোবিন্দগঞ্জ থানার উদ্দেশে রওনা হয়। পথে বিশ্বনাথ গ্রামের সাতারপাড়া বাঁধের ওপর তাঁর সহযোগী ও স্বজনরা লাঠিসোঁটা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে পুলিশের ওপর হামলা চালায়। একপর্যায়ে পুলিশের কাছ থেকে আসামি চিনু মিয়াকে ছিনিয়ে নেয় তারা।

গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম মেহেদী হাসান জানান, হাতকড়াসহ ছিনিয়ে নেওয়া আসামি চিনু মিয়া আজ শুক্রবার ভোর রাতে জেলার চরাঞ্চলের দিকে পালিয়ে যাচ্ছিলেন। খবর পেয়ে পুলিশ কাটাখালী বাঁধের সাপগাছি হাতিয়াদহ এলাকায় অবস্থান নেয়। চিনু ও তাঁর সহযোগীরা হাতের নাগালে চলে এলে পুলিশ তাদের আটক করার চেষ্টা করে। টের পেয়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে দুর্বৃত্তরা গুলি ছোড়ে। আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি ছোড়ে। এ সময় তিন পুলিশ সদস্য আহত হন। একপর্যায়ে দুর্বৃত্তরা পিছু হটে যায়। পরে ঘটনাস্থল থেকে গুলিবিদ্ধ চিনু মিয়ার লাশ, অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করে পুলিশ।

ওসি আরও জানান, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য গাইবান্ধা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। আহত তিন পুলিশ সদস্যকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। ওসি তাৎক্ষণিকভাবে তাদের পরিচয় জানাতে পারেননি।