ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে পৃথক দুর্ঘটনায় নিহত ৪

ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে পৃথক তিন দুর্ঘটনায় চার মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। আজ শুক্রবার সকালে এ দুর্ঘটনাগুলো ঘটে।

নিহতরা হলেন- নাটোর সদরের আটদিঘা এলাকার বাসিন্দা ঢাকায় নৌবাহিনী সদর দপ্তরে কর্মরত কর্পোরাল নাজমুল হোসেন (২৭), মির্জাপুর উপজেলার হাড়িয়া গ্রামের সাবেক চেয়ারম্যান মো. ছবুর মিয়ার স্ত্রী সুফিয়া বেগম (৬০), পার্শ্ববর্তী বাসাইল উপজেলার কাঞ্চনপুর গ্রামের শাহিন মিয়া (৩৫) ও একই গ্রামের শামীম আল মামুনের মেয়ে সামিয়া আক্তার (১০)।

পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, শুক্রবার সকালে মোটরসাইকেলে করে ঢাকা থেকে নাটোর যাচ্ছিলেন নাজমুল হোসেন ও তাঁর সহকর্মী কর্পোরাল জাহান আলী। সকাল পৌনে সাতটার দিকে মির্জাপুর উপজেলার গোড়াই এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মোটরসাইকেলটি রাস্তার ওপর পড়ে যায়। এ সময় পেছন থেকে একটি ট্রাক নাজমুলকে চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় জাহান আলী বাদী হয়ে মির্জাপুর থানায় মামলা করেছেন। পুলিশ ট্রাক চালক রঞ্জু মিয়াকে (৩২) গ্রেপ্তার করে টাঙ্গাইলের আদালতের মাধ্যমে আজ শুক্রবারই জেল হাজতে পাঠিয়েছে।

সকাল সাড়ে দশটার দিকে নানার বাড়ি মির্জাপুর উপজেলার মুশুরিয়াঘোনা থেকে সামিয়া আক্তার ও তাঁর চাচা শাহিন মিয়া মোটরসাইকেলে করে গ্রামের বাড়ি যাচ্ছিল। পথে মির্জাপুর উপজেলার কদিমধল্যা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় পেছন থেকে একটি বাস মোটরসাইকেলটিকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই সামিয়া মারা যায়। গুরুতর অবস্থায় আহত শাহিনকে প্রথমে মির্জাপুরের কুমুদিনী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে ঢাকায় নেওয়ার পথে তিনিও মারা যান।

এদিকে সকাল দশটার দিকে মহাসড়কের কালিয়াকৈর এলাকায় অপর দুর্ঘটনাটি ঘটে। ছেলে সোহাগ মিয়ার সঙ্গে মোটরসাইকেলে করে বাড়ি যাচ্ছিলেন সুফিয়া বেগম। পথে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মোটরসাইকেল থেকে দুজন রাস্তায় ছিটকে পড়েন। এ সময় পেছন থেকে আসা উত্তরাঞ্চলগামী একটি বাস সুফিয়াকে চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। আহত সোহাগ মিয়াকে মির্জাপুরের ন্যাশনাল ক্লিনিকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

মির্জাপুরের গোড়াই হাইওয়ে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) তারিফুজ্জামান মিয়া জানান, নিহতদের মরদেহ আইনি প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।